সিএ এ নিয়ে নতুন করে কনো উত্বেতেজনা দেখা না দিলেও বেশ কদিন ধরে আবার এই ইস্যুতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি ‘ইন্টারভেনশন অ্যাপ্লিকেশন’ অর্থাৎ হস্তক্ষেপের আরজি দাখিল করেছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC)। বেশ কদিন আগে থেকেই এই নিয়ে দেখা দিছহিলো একটা চাপা উত্তেজনা।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আসা সমস্ত উদ্বাস্তুদের মধ্যে হিন্দুরা অবশ্যই নাগরিকত্ব পাবেন বলেও জানিয়ে দেন অমিত শাহ। তবে বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাসের আগে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আর এই আলোচনায় রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত নাম না করে এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি চালু করতে দেবেন না বলে দাবি জানিয়েছিলেন তা উনি কি আটকাতে পারবেন? কিন্তু এভাবে চ্যালেঞ্জ করেও দমানো যায়নি বিরোধি দলনেতাদের।
Raveesh Kumar, MEA: Our Permanent Mission in Geneva was informed yesterday evening by the UN High Commissioner for Human Rights that her Office had filed an Intervention Application in the Supreme Court of India in respect to 2019 Citizenship Amendment Act (CAA). (1/4) pic.twitter.com/HhRwBzwcwA
— ANI (@ANI) March 3, 2020
আর সেই নিয়ে আবার এদিন শুরু হয়েছে নানা ব্যাপার। আর এর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে শুরু হয়েছে অশান্তি । সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত শুধু রাজধানীতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন মানুষ। তাতে কোনরকমভাবে উত্তেজনা দেখা দেয়নি, আর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও অগ্নিগর্ভ মেঘালয়। এবার এই অশান্তি কি করে কমানো যাবে তা বলা মুশকিল।বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার সাফ বলেন, “জেনেভায় আমাদের স্থায়ী রাষ্ট্রদূতকে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। এক্ষেত্রে সবার মনে রাখা উচিত, CAA ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এর সঙ্গে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংসদের আইন প্রণয়ণের অধিকার জড়িত।আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, যে ভারতের সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।” তিনি আরও বলেন, “সাংবিধানিকভাবে CAA বৈধ। সংবিধান মেনেই এই আইন তৈরি করা হয়েছে।” UNHRC-এর কমিশনার। সাউথ ব্লকে খবরটি পৌঁছতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে । আবার সোমবার জেনেভায় ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূতকে গোটা বিষয়টি জানান ।এখন দেখার ব্যপার কি হয় শেষ পর্যন্ত।