বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা তিনি। এবার তাঁকে ঘিরেই উঠল এক চঞ্চল্যকর দাবি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নাকি দলের অন্দরেই কোণঠাসা করা হচ্ছে!
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কোণঠাসা করা হচ্ছে?
সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরদিনই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এর আগেও তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) রাজ্যের পূর্ণ সময়ের পুলিশ মন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন। প্রসঙ্গত সোমবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কর্ম সমিতির বৈঠক ডেকেছিলেন সেখানে মূলত হাজির ছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরের রদবদল নিয়ে। কর্মসমিতির বৈঠক ঘিরেই তৃণমূল অন্দরে রদবদলের সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছিল। সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি নামের একটি তালিকাও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে দিয়েছিলেন। এতদিন পর্যন্ত দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া যে কোন সিদ্ধান্তই মেনে নিয়েছে দল। কিন্তু সোমবারের বৈঠকে তা হলো না। তাই এদিনের বৈঠকের পর একথা স্পষ্ট যে ২৬-এর নির্বাচন পরিচালনার রাশ নিজের হাতেই রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবারের বৈঠকের পর আজ মঙ্গলবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি কোনও যোগ্যতা নেই? কেন কেউ অভিষেককে কোণঠাসা করবে? কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে, আর সেটা কি আমরা মেনে নেব?’ সেইসাথে তাঁর দাবি, ‘বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে যাঁরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চাইছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ আগামী দিনে অন্ধকার হবে।’
আরও পড়ুন: BJP-তেও নবীন বনাম প্রবীণ! উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর একে অপরকে দুষছেন BJP-র সুকান্ত-তথাগত
এখন প্রশ্ন হল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করছেন কে বা কারা? প্রসঙ্গত এদিন নাম না করেই তৃণমূলের ‘প্রবীণ ব্রিগেড’কেই আক্রমণ শানিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। কিন্তু অভিষেকের হয়ে কেন কথা বললেন হুমায়ুন? জানতে চাওয়া হলে TV9 বাংলাকে হুমায়ুন বলেছেন, ‘আমি নিজের কোনও স্বার্থের জন্য রাজনীতি করি না। আমি মুর্শিদাবাদের মাটিতে ৪৫ বছর ধরে রাজনীতি করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিবেগকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছিল? আজ যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছে, তারা ভাবুক। কেউ নিজেদের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুল বোঝাচ্ছেন।’
এখানেই শেষ নয়, হুমায়ূনের আরও দাবি, ‘মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই ধরনের কাজ করছেন।’ এখানেই উঠছে আরও এক প্রশ্ন। উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তাহলে কি এখানে নাম না করে তাঁর কথাই বললেন হুমায়ুন?