বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) আর ‘বিতর্ক’ শব্দটা যেন একে অপরের হাত ধরাধরি করে চলে। বিগত কয়েক দিন ধরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয় একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি (Humayun Kabir)। এই বিধায়ক সোমবার তৃণমূলের কর্ম সমিতির বৈঠকের পর দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের অন্দরেই কোণঠাসা করা হচ্ছে।
শো-কজ নোটিসের জবাবে দিলেন হুমায়ুন (Humayun Kabir)
এছাড়া কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পূর্ণ সময়ের জন্য পুলিশমন্ত্রী করারও দাবি করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। এরপর তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) শোকজ নোটিশ ধরিয়ে তিন দিনের মধ্যে তার মন্তব্যের জবাবদিহি চেয়েছিল দল। তারপরেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও হুমায়ুনকে নিয়ে শোনা গিয়েছে বিরক্তি।
মুখ্যমন্ত্রীর ধমক শোনার ২৪ ঘন্টা পরেই জবাব দিয়েছেন হুমায়ুন (Humayun Kabir)। এদের নিজের করা মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি দলের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হুমায়ুন কবীর। সেইসাথে তার পাল্টা প্রশ্ন তাকে শোকজ করা হলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য শোকজ করা হল না কেন? হুমায়ুনের প্রশ্ন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন কোন পদক্ষেপ করল না দল? তিনি কলকাতার নেতা বলে?
শুক্রবার তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত জবাব দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। সূত্রের খবর সেখানে তিনি জানিয়েছেন শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের বিরোধিতা তিনি করেননি। শুধু তাই নয় তার দাবি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার লাঘব করার জন্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এটা কিভাবে দল বিরোধী কাজ হতে পারে?
আরও পড়ুন: KIFF-এ থাকছেন না অমিতাভ-শাহরুখ-সলমন, বলিউড থেকে আসছেন কারা?
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই আরজিকর কান্ডের নিরব থাকায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে চেয়েছিলেন কার হাত মাথায় থাকায় তৃণাঙ্কুরকে পদ থেকে অপসারণ করা হয় না? তাহলে এই মন্তব্যের জন্য কেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ করল না দল?
বরং তাঁকে সংসদে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য করে দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি এ প্রসঙ্গে হুমায়ুনের মন্তব্য যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। তবে মনে করা হচ্ছে কলকাতার নেতা জন্য শুধু নয়, মূলত মমতা ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই রেহাই পেয়েছেন কল্যাণ।