বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আধার কার্ড এখন আমাদের জীবনে এমন আবশ্যক হয়ে উঠেছে যে এই কার্ড ছাড়া প্রায় কোনও কাজই সম্পন্ন হয় না। সাধারণভাবে ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলেও আধার কার্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এবার কার্যত সেই আধার কার্ডকে ঘিরেই এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এলো শিলিগুড়ি থেকে।
শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদিনই আবর্জনা শুকোতে দেন কাগজ কুড়োনিরা। এই এলাকার একটি ফাঁকা জমিকে এই কাজের জন্য ব্যবহার করেন তারা। এদিনও একই রকমভাবে বস্তাভর্তি আবর্জনা ছড়িয়ে শুকোতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজু ঘড়াই নামে এক ব্যবসায়ীর চোখে পড়ে, আবর্জনার মধ্যে পরে রয়েছে অগুনতি আধার কার্ড। শুধু তাই নয় রয়েছে বেশকিছু ব্যাংকের বই এবং এটিএম কার্ডও। স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহলী হয়ে ব্যাপারটি দেখতে আসেন তিনি।
এরই মধ্যে একটি আধার কার্ডের গায়ে ফোন নম্বর লেখা আছে দেখে কৌতুহলী হয়ে দীপু অধিকারী নামে ওই ব্যক্তিকে ফোন করেন রাজু। সাথে সাথেই ছুটে আসেন দীপু। আবর্জনার মধ্যে ঘাঁটতে ঘাঁটতে নিজের মেয়ের আধার কার্ডও খুঁজে পেয়ে যান তিনি। তাঁর বক্তব্য, “অনেকবার পোষ্ট অফিসে খোঁজ নিয়েও মেয়ের আধার কার্ড পাইনি। আর দেখুন এই আবর্জনায় ওর কার্ড পড়ে রয়েছে। সরকারি কাজে এরকম গাফলতি মেনে নেওয়া যায় না।”
অন্যদিকে রাজু ঘড়াই নামের ওই ব্যক্তি জানান, প্রতিদিনই এই এলাকায় আবর্জনা কুড়িয়ে এনে শুকোতে দেন কাগজ কুড়োনিরা। এদিন তারা চলে যাবার পর হঠাৎ তিনি দেখতে পান বেশকিছু আধার কার্ড পড়ে রয়েছে আবর্জনার স্তুপের মধ্যে। যদিও কোথা থেকে ওই কাগজ কুড়োনিরা এগুলো পেল তা তিনি জানেন না। ঘটনা নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে এসে সমস্ত আধার কার্ডগুলি বস্তাবন্দি করে নিয়ে যায় পুলিশ। এত গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত নথি কিভাবে এই আবর্জনার স্তূপে এলো তা এখন খতিয়ে দেখছেন তারা।