বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টির সাথে ক্রমশই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন রাজ্যের মানুষজন। আজকাল এই খবর নতুন করে সামনে এলে আর কেউ চমকে ওঠেন না। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে সরকারে অর্থাৎ ক্ষমতায় আসীন দলের এত নেতা যুক্ত রয়েছেন যে সকলের কাছে ব্যাপারটি এখন অত্যন্ত স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্যের অপর এক শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন করে ধরা পড়লো দুর্নীতি।
এবার মাদ্রাসায় শিক্ষা কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিস্তারিত না জানা গেলেও এখনো পর্যন্ত পাওয়া প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে প্রায় পাঁচশোরও বেশি শিক্ষা কর্মে ভুলেও নিয়োগ পত্রের মাধ্যমে এই জায়গায় চাকরি করছেন। কিন্তু এই শুনে অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, ব্যাপারটা ধরা পড়লো কিভাবে?
এইখানেই শিক্ষাক্ষেত্রে বাকি দুর্নীতিগুলির সঙ্গে মাদ্রাসায় দুর্নীতির ব্যাপারটি তফাৎ দেখা গিয়েছে। কোন ইডি বা সিবিআই নয়, এমনকি রাজ্য পুলিশের দ্বারাও নয়, এই দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষা দপ্তরের নিজেদের তদন্তেই। আপাতত এই তদন্তের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি।
কিন্তু কেনই বা আচমকা তদন্ত শুরু হলো এবং এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে এলো? জানা গিয়েছে যে বেশ কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসায় কর্মরত একটা বড় সংখ্যার কর্মী নিজেদের বেতন ঠিকঠাক পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ জানেন দপ্তরের কাছে। তারা এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা করেন যার সঙ্গে তারা জুড়ে দিয়েছিলেন নিজেদের নিয়োগ পত্র।
প্রায় ৯০০টির কাছাকাছি এমন আবেদন পত্র জমা পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ জাগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এরপর এই তদন্ত করে দেখা হয় এবং সেখান থেকেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে কেউটে। এখনো অবধি অবৈধ নিয়োগপত্রর সংখ্যা ৫৫০ ছুঁয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারের কাছে এই বিষয়ে অফিসিয়াল রিপোর্ট জমা করতে চলেছে।