বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাঁচ বছরের প্রেম পর্ব। অবশেষে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পরিণতি পেল তাঁদের সম্পর্কের। বিয়ে হয় বালি থানার অন্তর্গত বাদমতলার বাসিন্দা আমন সাউয়ের সঙ্গে লিলুয়ার বাসিন্দা নেহা শুকলার। আমন মঙ্গল হাটে জামাকাপড়ের ব্যবসায়ী। বিয়ের পর কয়েকমাস আমন-লিলুয়ার বৈবাহিক সম্পর্ক ভালই কাটে। কিন্তু বাঁধ সাধে লিলুয়ার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক।
হুগলির উত্তরপাড়ার এক যুবকের সাথে লিলুয়া সম্পর্কে লিপ্ত হয়। শুরু হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ। তার পরিণতি পৌঁছে যায় আমনের আত্মহত্যা পর্যন্ত। আর সেই আত্মহত্যার মুহূর্ত মুঠোফোনে বন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে স্ত্রী লিলুয়া। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে এসেছে হাওড়া (Howrah) থেকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই স্বামীকে আত্মহত্যার (Suicide) প্ররোচনার অভিযোগে স্ত্রী লিলুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, লিলুয়া প্রাশয় অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি করে বাড়ি ফিরত। আর সেই পার্টিতে যাওয়ার জন্য স্বামীর কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করত লিলুয়া। গত মার্চ মাসে সে শ্বশুর বাড়ির অমতে প্রেমিকের সঙ্গে দিল্লি যায়। সেখান থেকে কিছুদিন কাটিয়ে বাড়ি ফিরে আমনকে ডিভোর্সের জন্য চাপ দিতে থাকে লিলুয়া। এমন পরিস্থিতিতে লিলুয়ার ফোনে তাঁর প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর ছবি দেখতে পায় আমন। গত ৮ এপ্রিল সেই অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সেই মুহূর্তের কথা গুলি লিলুয়া তাঁর মোবাইলে রেকর্ড করতে থাকে। আমন তাঁর স্ত্রীকে বলে, সে এমন কিছু করবে যা তাঁকে সারাজীবন মনে রাখতে হবে।
এটা শুনে হাঁসতে থাকে লিলুয়া। তারপরই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে আমন। যা রেকর্ড হয়ে যায় লিলুয়ার ফোনে। সেই পরিস্থিতিতে আমনকে একবারও বাঁচানোর চেষ্টা করেনি লিলুয়া বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে লিলুয়া পালানোর চেষ্টা করলে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাঁর মোবাইল কেঁড়ে নেই। সেই ফোন পুলিশকে জমা দিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে আমনের বাবা। পুলিশ আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার লিলুয়াকে গ্রেপ্তার করে হাওড়া আদালতে পেশ করে। সেখানে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।