বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ডিভোর্স (Divorce), আজকের দিনে এটি কোন নতুন বিষয় নয়। বিবাহের পর স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে সামান্য থেকে সামান্যতর বিষয় নিয়েও অনেক সময় অনেক সম্পর্কের ইতি ঘটতে দেখা গিয়েছে। কখনও বা আদালতে গিয়ে সর্বসমক্ষে তর্জা করে, তো আবার কখনও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার মধ্যেও সমস্যার সমাধান করে নেয় অনেকে।
ডিভোর্স দেওয়া যাবে স্ত্রীকে
তবে এবার এই ডিভোর্স নিয়ে এক ঐতিহাসিক রায় দিল কেরল হাই কোর্ট। এতদিন শোনা যেত শ্বশুরবাড়িতে মেয়েদের উপর অত্যাচার হলে, মেয়েরা সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবে। কিন্তু এবার এক কেসের ভিত্তিতে কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি এএম শফিক ও বিচারপতি মেরি জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিল, স্ত্রী যদি বিয়ের পর স্বামীকে তাঁর বাব-মায়ের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য চাপ দেয়, তাহলে সেই কারণের জেরে ডিভোর্স দেওয়া যাবে স্ত্রীকে।
ঘটনার বিবরণ
সম্প্রতি কেরলের হাইকোর্টে একটি বিচ্ছেদের বিষয় নিয়ে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে তাঁর বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হওয়ায় জন্য চাপ দিচ্ছে। উল্টো দিকে স্ত্রী জানায়, শ্বাশুড়ির মদতে তাঁর স্বামী রোজ রাতে মদ খেয়ে এসে তাঁকে এবং সন্তানদেরকে মারধর করে। আবার সারাদিন ধরে শ্বাশুড়ি তাঁকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করায়। এই কারণের জন্য তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাইলেও, শ্বাশুড়ির সঙ্গে আর থাকতে পারছেন না।
রায় দিল কেরল হাই কোর্ট
এই মামলার নিস্পত্তি করতে গিয়ে কেরল হাই কোর্ট জানাল, ‘অসহায় বাবা-মা এবং স্ত্রীর চাহিদা একই সঙ্গে পূরণ করা যেকোনো স্বামীর পক্ষেই সংকটের হয়ে দাঁড়ায়। তবে এর মধ্যে যদি স্ত্রী অবুঝের মতো স্বামীকে তাঁর বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে, তাহলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়া যাবে’।
সেই সঙ্গে কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি আরও জানালেন, ‘বাড়ির বড়রা ছোটদের বকাবকি করতেই পারে। আর এমন কোন সংসার নেই, যেখানে ঝামেলা হয় না। এবং বাড়ির বউ ঘরের কাজ করবে, এটাতে অস্বাভাবিক তো কিছু নেই’।