মাধ্যমিক পাশ করেছে স্ত্রী, তার জেরেই ঝগড়া করে আত্মঘাতী হল স্বামী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাধ্যমিকে পাশ করতে না পেরে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় এর আগেও দেখা গিয়েছে অনেকবার। তবে এবার করোনা কালে বাতিল হয়ে গিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। বিকল্প পদ্ধতি মেনে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ফলাফল। পাশ করেছে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু তার পরেও ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এলাকায়।

মাধ্যমিক পাশ করেছে স্ত্রী, স্বাভাবিকভাবেই স্কুল থেকে রেজাল্ট আনতে চেয়েছিল সে। এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল পড়াশোনা। কিন্তু স্ত্রীর বেশি দূর পড়াশোনা পছন্দ নয় স্বামীর। সেই কারণেই শুরু হয় বচসা। স্ত্রী মেহেরুন্নেসার উপর মারধর শুরু করে স্বামী ইব্রাহিম আলী। রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায় মেহেরুন্নেসা। আর তারপরেই আত্মঘাতী স্বামী।

পরিবার তরফে জানানো হয়েছে, মাস ছয়েক আগে ভগবানগোলা থানার গোপালপুর গ্রামের মেহেরুন্নেসার সঙ্গে বিবাহ হয় ইব্রাহিমের। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুঁটিনাটি ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। এর আগেও একাধিকবার মেহেরুন্নেসার গায়ে হাত তুলেছে ইব্রাহিম। তবে স্বামীর ঘর ছেড়ে যায়নি মেহেরুন্নেসা। এদিন ফের একবার তাদের মধ্যে বচসা বাঁধে মাধ্যমিকের রেজাল্টকে ঘিরে। মেহেরুন্নেসার কথায়, ফোন করে তাকে রেজাল্টের খবর দিয়েছিল তার বান্ধবীরা। তারপর দেওরের ফোনে সে রেজাল্ট দেখে। স্বামীকে জানায় রেজাল্ট আনতে যাবে স্কুলে। স্বামী বাধা দিলেও মানতে চায়নি সে। এরপরেই ইব্রাহিম তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ।

অভিমানে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসে মেহেরুন্নেসা। অবশ্য তাকে ফিরিয়ে নিতে এসেছিলেন স্বামী ইব্রাহিম। কিন্তু মেহেরুন্নেসার বাবা সরিফুল হোসেন আর মেয়েকে যেতে দেননি। জামাই তাদের সাথে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। এর পরেই বাড়ি ফিরে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁসি নেয় ইব্রাহিম। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ, সেদিন শ্বশুরবাড়িতে কি হয়েছিল তারা জানেন না। প্রেমঘটিত বিবাহ হলেও মেহেরুন্নেসা এবং ইব্রাহিমের বৈবাহিক সম্পর্ক সুখের ছিল না। পুরো ঘটনা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্বামীর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছে মেহেরুন্নেসাও।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর