করোনার ভয়ে স্ত্রীর সঙ্গেও ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং’, শেষে কোর্টে গিয়ে দিতে হল ‘পুরুষত্বের’ প্রমাণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: করোনার সময়েই হয়েছিল বিয়ে। কিন্তু ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে নিজের বউয়ের থেকেই ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং’ পালন করছিলেন এক যুবক। কিন্তু সেটি ভালভাবে মেনে নেননি স্ত্রী। আদালতে গিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে বসেন তিনি। শেষমেশ ওই যুবককে আদালতে গিয়ে নিজের ‘পুরুষত্বের’ প্রমাণ পর্যন্ত দিতে হয়। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে।

আসলে ২৯ জুন বিয়ে হয় ভোপালের ওই যুবকের। কিন্তু সেই সময় তাঁর শ্বশুর বাড়ির বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরেন। ভয়েতে নব বিবাহিতা বউয়ের থেকেই সামাজিক দূরত্ব পালন করা শুরু করেন ওই ব্যক্তি। এমনকি দুজনের মধ্যে কোনও রকম সাংসারিক সম্পর্কও গড়ে ওঠেনি। আর এতেই বেশ অসন্তুষ্ট হয়ে পরেন স্ত্রী। তিনি রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান।

এরপর কয়েকদিন আগে ভোপালের পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন স্ত্রী। তিনি জানান স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা হলেও এই পাঁচ মাসে একবারও তাঁর কাছে যাননি স্বামী। সূত্রের খবর, ডিভোর্সের কারণ হিসেবে স্ত্রী নিজের স্বামীর যৌন ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত ডাক্তারি পরীক্ষা হয় ওই ব্যক্তির। তাতে দেখা যায় তিনি যৌনতার দিক থেকে সক্ষম পুরুষ। আর এরপরেই আদালত ওই মহিলাকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

সম্পর্কিত খবর