বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি হলো লক্ষ্মী ভান্ডার, যেখানে প্রতি মাসে 500 টাকা করে পান প্রতিটি সাধারণ মহিলা এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলারা পান 1000 টাকা। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের ‘লক্ষ্মীরা’। তবে এর মাঝেই কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকায় ঘটে গেল এক অবাক করা কাণ্ড। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় মহিলাদের পাশাপাশি একজন পুরুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে চলেছে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা! এই নিয়েই বর্তমানে শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
কোচবিহার মাথাভাঙা 1 নম্বর ব্লকের ভেড়ভেড়ি মানাবাড়ি গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, এলাকার এক স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই অ্যাকাউন্টে ঢুকে চলেছে 1000 টাকা করে আর এই ঘটনাটির সামনে আসতেই হতবাক হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা। পেশায় টোটো চালক আব্দুল কাদেরের অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ সাত মাস ধরে আসছে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা। তবে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি প্রায় দেড় বছর আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। তারপর একদিন পাসবুক আপডেট করতে গিয়ে এই ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে। তবে কি করে আমার অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকছে, সেই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।”
তবে অভিযোগটি সামনে আসার পরেই শাসক দলের দুর্নীতি প্রসঙ্গটি তুলে ধরে বিরোধীরা। বিজেপির জেলা সভাপতি মনোজ ঘোষ বলেন, “বাংলা এখন দুর্নীতির আঁতুড় ঘর। শাসক দলের নেতারা প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি করে চলেছে। এখানেও যে ভুলভ্রান্তি হয়েছে, তার জন্য দায়ী সরকার।”
তবে এই প্রসঙ্গে এ দিন 1 নম্বর ব্লকের বিডিও বলেন, “আমাদের ব্লকে 25127 জন মহিলা লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা পেয়ে চলেছেন। তবে যে পুরুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার অভিযোগ উঠেছে, তার নাম আমাদের লিস্টে নেই। কিন্তু কিভাবে এই কাণ্ড ঘটে চলেছে, তার জন্য তদন্ত চালানো হচ্ছে। খুব দ্রুত আসল সত্যটি সামনে উঠে আসবে।”