বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় বাংলা গান “টুম্পা” আমরা সকলেই শুনেছি। সারা রাজ্যজুড়েই তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল এই গান। সেই গানেরই একটি লাইন ছিল “বউ পালালো জানলা দিয়ে!” অর্থাৎ বিয়ের পরেই স্বামীর ঘর ছেড়ে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তবে, এটা নেহাতই একটা গানের লাইন হলেও বাস্তবেও যেন ঠিক সেই ঘটনাই ঘটল। এমনকি, এই ঘটনার জেরে কার্যত চরম বিপাকে পড়লেন “অসহায়” স্বামী। কিন্তু, কিভাবে?
জানা গিয়েছে যে, হরিশ কুমার ওরফে দীনেশ তাঁর স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বিহারের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। কিন্তু, তারপরেই যে ঘটনা জানা গিয়েছে তা রীতিমত বিশ্বাসই করতে পারছেন না কেউই। মূলত, দীনেশের স্ত্রী জলন্ধরের গদাইপুরে তাঁর প্রেমিকের সাথে লুকিয়ে ছিলেন। বিহার পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে জলন্ধরের আট থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে ওই মহিলাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। যদিও, ঘটনাস্থল থেকে তাঁর প্রেমিক পালিয়ে যায়।
ঠিক কি ঘটেছে?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার কেসারিয়া থানার অন্তর্ভুক্ত চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা ওই মহিলার বাবা দশ দিন আগে একটি এফআইআর দায়ের করে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর মেয়েকে হরিশ কুমার ওরফে দীনেশ এবং তাঁর বাবা-মা-ও ভাই মিলে খুন করে মৃতদেহ লুকিয়ে দিয়েছে। মূলত, বাইক ও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিতে না পারায় ওই চারজনের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তোলেন গৃহবধূর বাবা।
এদিকে, এই ঘটনায় হরিশ ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর হরিশকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু, তদন্তে জানা যায় যে, ওই মহিলাকে খুন করা হয়নি। বরং, তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। এমনকি, পুলিশ যখন ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ট্রেস করে, তখন দেখা যায় পরিবারের সদস্যরা তাঁদের মেয়ের সঙ্গে কথাও বলছেন। এমতাবস্থায়, সব নম্বর খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, ওই মহিলা আপাতত জলন্ধরে রয়েছেন। এরপর জলন্ধর থেকে মহিলাকে কেসারিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এখন প্রেমিককে খুঁজছে বিহার পুলিশ:
এই প্রসঙ্গে কেসারিয়া পুলিশের ইন্সপেক্টর অভয় কুমার যাদব জানিয়েছেন যে, ওই মহিলার প্রেমিকের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর সন্ধান জোরকদমে চলছে। পাশাপাশি, ওই গৃহবধূর পালানোর পেছনে প্রেমিকের কোনো হাত আছে কি না, তা ধরা পড়লেই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, জলন্ধর আট থানার ইনচার্জ মুকেশ কুমার বলেছেন যে, বিহার পুলিশ জলন্ধরে এসেছে এবং তাদের এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ সাহায্যও করা হয়েছে।