উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে তিন তালাক দেওয়া এবং এরপর মহিলাকে গণধর্ষণ করার মামলা সামনে এসেছে। মহিলা নিজের স্বামীর উপরে অভিযোগ এনে বলেছেন যে, প্রথমে তাঁর স্বামী তাঁকে তিন তালাক দেয় এবং পরে তাঁর স্বামী এবং তাঁর তিন দেওর মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতা জেলার এসপি এর কাছে এই ঘটনার অভিযোগ জানিয়ে ন্যায় বিচারের আবেদন করেছেন।
এরি ঘটনা গুলাবটি কোতওয়ালী এলাকার। সেখানে থাকা এক যুবতীর নিকাহ তিন মাস আগে মেরঠের সালমান নামক এক যুবকের সাথে হয়েছিল। সালমান ছোটখাটো পারিবারিক বিবাদের জেরে তাঁর স্ত্রীকে শুধু তালাকই দেয় নি, তাঁর স্ত্রীকে নিজের তিন ভাইয়ের সাথে মিলে গণধর্ষণ ও করে।
আপাতত নির্যাতিতা এসপি এর কাছে ন্যায় বিচারের জন্য আবেদন করেছেন। এরপর বুলন্দ শহরে গুলাবটি কোতওয়ালী তে এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই মামলা নিয়ে মেরঠ জোনের এজিপি প্রশান্ত কুমার জানান, এই মামলা সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্তের পর কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উনি জোর গলায় বলেন যে, যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে অভিযুক্তদের এর ফল ভোগ করতেই হবে।
উল্লেখনীয় সরকার তিন তালাক নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আর এরপরেও দেশে তিন তালাক থামার নাম নিচ্ছে না। কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশের সিতাপুর থেকে একটি তিন তালাক মামলা সামনে এসেছে, যেখানে মহিলা তাঁর স্বামীকে মদ খেতে বারণ করা তাঁর স্বামী তাঁকে তিন তালাক দিয়ে দেয়। তিন তালাক দেওয়ার পর স্বামী ওই মহিলাকে মারধর করে ঘর থেকেও বের করে দেয়।