বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামান্য চেনা জানা ছিল নিজেদের মধ্যে। তবে বাড়ির সকলের উপস্থিতিতেই অগ্নিসাক্ষী করে চার হাত এক হয়েছিল রাজেশ আর সোনালীর। তারপর কেটে গিয়েছে আট বছর। কিন্তু, শেষপর্যন্ত আর রাজেশের সংসারে মন বসেনি সোনালীর। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে (Extra marital affair) মেনে নিয়েই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিলেন।
ইতিমধ্যেই, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর এবং ফুলিয়ায়। জানা গিয়েছে, পেশায় তাঁত শ্রমিক রাজেশের বাড়ি ফুলিয়ায়। পাশের রায়পাড়ার বাসিন্দা সোনালী রায়কে বিয়ে করার তিনমাস পরেই মা বাবাকে ছেড়ে সোনালীর সঙ্গে আলাদা করে সংসার শুরু করে রাজেশ। উপার্জন কম না হলেও ব্যস্ততার কারণে পরিবারে একটু কম সময় দিতেন।
তাই স্ত্রীর একাকীত্ব কাটাতে স্ত্রীকে কিনে দিয়েছিলেন নতুন মোবাইল। বলা বাহুল্য, সেই মোবাইলই কাল হল রাজেশের সংসারে। এরপরেই শান্তিপুর মাতাল গড় বাজার এলাকার বাসিন্দা রাহুল দত্তের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে বন্ধুত্বর শুরু হয় সোনালীর। রাজেশের কথায় হোটেলেও তারা একসাথে সময় কাটান। তবে ছয় মাস আগে সম্পর্কের কথা জানতে পেরে রাহুলের বাড়িতে ফোন করে জানায় বিষয়টি।
এরপর রাহুলের পরিবারের তরফে ‘ছেলের দোষ’ স্বীকার করে নিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা আরো বাড়তে থাকে। এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় স্ত্রীর কাছ থেকে শেষবারের মতন নিজের ইচ্ছার কথা জানতে চায় রাজেশ। তবে, শেষমেশ রাজেশ তার বাবা-মায়ের সম্মতিক্রমে স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে, ডিভোর্স করার পর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফেরে।
তবে, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন মতামত দিতে রাজি হয়নি সোনালী বা রাহুল কেউই। অন্যদিকে, পারিবারিক সম্মানহানি হওয়ার ভয়ে রাহুলের পরিবারও মুখ খোলেনি। যদিও, পুরো বিষয়টি খোলাখুলি ভাবে উল্লেখ করেছে রাজেশ। তার কথায়, মহিলাদের জন্য আইন এক সময় দরকার ছিল ঠিকই তবে আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমানে লাঞ্ছিত হচ্ছে পুরুষ।