বাংলা হান্ট ডেস্ক :শুক্রবারের সকালটা যে দেশবাসীর জন্য এতটা ভাল হবে তা বোধহয় আগে থেকেই কেউ কল্পনা করতে পারেনি। সপ্তাহের শেষ লগ্নে এসে তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছ থেকে এমন বড় খবর আশাও করেনি হয়তো কেউ। হঠাত্ এমন শাস্তিতে যথেষ্টই খুশি দেশবাসী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত দোষী দিয়ে এনকাউন্টার করার জন্য তেলেঙ্গানা পুলিশকে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে শুভেচ্ছা বার্তা ও স্যালুটে।
শুক্রবার কাকভোরে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য হায়দারাবাদের স্বাদের নগরের সেখানে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই কালভার্টের নিচে চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করে আর ঠিক সেই সময় পুলিশের হাতে এনকাউন্টার হয়ে খতম হন ওই চার অভিযুক্ত। আর এর পরেই হায়দরাবাদ পুলিস জিন্দাবাদ এবং তেলেঙ্গানা পুলিস জিন্দাবাদ বলে একসঙ্গে জমায়েত হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে জনতার।
#WATCH Hyderabad: 'DCP Zindabad, ACP Zindabad' slogans raised near the spot where where accused in the rape and murder of the woman veterinarian were killed in an encounter by Police earlier today. #Telangana pic.twitter.com/2alNad6iOt
— ANI (@ANI) December 6, 2019
Hyderabad: Locals had showered rose petals on Police personnel at the spot where accused in the rape and murder of the woman veterinarian were killed in an encounter earlier today pic.twitter.com/66pOxK1C2b
— ANI (@ANI) December 6, 2019
একই সঙ্গে ওই ঘটনা স্থলেই উপস্থিত পুলিশ দের গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছুড়ে অভিনন্দন জানানো হয়। পাশাপাশি নিহত মহিলা পশু চিকিত্সকের প্রতিবেশীরা পুলিশের হাতে রাখি বেঁধে দেন। এক কথায় গোটা তেলেঙ্গানা জুড়ে এখন অকাল হোলি উত্সব পালিত হচ্ছে।
Hyderabad: Neigbours of the woman veterinarian, tie rakhi to Police personnel after the four accused were killed in an encounter earlier today pic.twitter.com/ltNsBLOPO6
— ANI (@ANI) December 6, 2019
উল্লেখ্য শুক্রবার কাকভোরে অর্থাত্ তিনটে নাগাদ চার অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফ জন্য সিভা জ্বললু নাভিন এবং চিন্তা কুন্তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করে তেলেঙ্গানা পুলিশ। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে ওই আর অভিযুক্ত সঙ্গে সঙ্গেই তেলেঙ্গানা পুলিশ ফোর্স তাদের পিছু ধাওয়া করে । এমনকি তাঁদের আত্মসমর্পন করার জন্য বার বার অনুরোধ জানায় পুলিশ অফিসাররা
কিন্তু তা না করায় তাদের এনকাউন্টার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে অভিযুক্তরা নাকি পুলিশের থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল আর তাতেই আত্মরক্ষার জন্য এনকাউন্টার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। পুলিশের এত বড় সাফল্যে যথেষ্ট খুশি সায়দাবাদে নিহত তরুণীর বাবা।
হায়দরাবাদ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে আর মেয়ের তার শাস্তি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তরুণী চিকিত্সকের বাবা। কোন দিকে নির্ভয়া মা আশা দেবী তিনিই আয়না বা পুলিশের ঘুষ প্রশংসা করে অন্য রাজ্যের পুলিশদের ওর মিতালির সুবিচার দিতে কীভাবে কাজ করতে হয় তাঁর শেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন।