বাংলা হান্ট ডেস্ক: পড়াশোনার চাপ নাকি অন্যকিছু! ধারালো অস্ত্রের কোপে অণ্ডকোষ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে আত্মঘাতী হলেন হায়দরাবাদের (Hyderabad) এক যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের ইয়াদাগিরিগুট্টাতে। নিজের বাড়িতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলে নিজের যৌনাঙ্গ। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঐ যুবকের নাম দক্ষিত রেড্ডি। তিনি হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালে মেডিকেল পড়ুয়া ছিলেন। বিগত বেশকিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও জানা গেছে। তার জন্য চিকিৎসা এবং মেডিকেশনও চলছিল। তবে সম্প্রতি দীক্ষিত সমস্ত ওষুধপত্র খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে দাবি সহপাঠীদের।
সহপাঠীরা আরো জানিয়েছে, বছর চারেক আগেও একবার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দক্ষিত। তবে সেই সময় প্রাণে বাঁচানো গেছিল তাকে। তারপর থেকেই চলছিল মানসিক অবসাদের চিকিৎসা। বন্ধুরা তাকে সাহায্যের চেষ্টাও করেছিল। তবে দক্ষিত বিশেষ কারো সাথে যোগাযোগ রাখতেননা। বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশাও নাকি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
বাড়িতে মা ও বোনের সাথেই থাকতেন তিনি। কিছুদিন আগে থেকেই তিনি তাঁর চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। আর তারপরেই ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা। পড়াশোনার চাপ নাকি অন্য কোন কারণ? দক্ষিতের মানসিক অবসাদের আসল কারণ কী? বিষয়টি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই পুলিশ-ও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই কাকাতিয়া মেডিকেল কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের এক মেডিকেল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পাশাপাশি তেলেঙ্গানাতেও ২ জন মেডিক্যাল পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেশজুড়ে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এইরকম চরম পথ বেছে নেওয়ার নেপথ্য কারণ কী? পড়াশোনার চাপ নাকি অন্যকিছু? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।