বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইপিএলের লিগ টেবিলের দিকে তাকালেই বোঝা যায় আপাতত প্লে-অফস প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালোর। অন্যদিকে প্লে-অফের টিকিট যে হাতে পাচ্ছেনা হায়দ্রাবাদ নিয়েও কোন সন্দেহ নেই তাই বুধবার এই দুই দলের লড়াই আপাতদৃষ্টিতে ততখানি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। যদিও নেট রান রেট এবং পয়েন্ট যে বাড়িয়ে নিতে চাইবেন কোহলি ব্রিগেডে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কারণ প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে শেষ করতে পারলে তাদের হাতে থাকবে একটি অতিরিক্ত সুযোগ। আর সেই লক্ষ্যেই আজ মাঠে নেমেছিলেন তারা।
আবুধাবিতে টসে জিতে এদিন প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলিই। কার্যত দিনটা ভালোই শুরু হয়েছিল আরসিবির জন্য। এদিনও গার্টনের বলে মাত্র ১৩ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিষেক শর্মা। ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন এবং জেসন রয় মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ঠিকই কিন্তু রানের গতি এ দিন সে ভাবে বাড়াতে পারেননি তারা। শেষ পর্যন্ত কার্যত সেই চাপেই ৩১ রানের মাথায় হর্ষল প্যাটেলের হাতে নিজের উইকেট তুলে দেন উইলিয়ামসন।
কার্যত কোহলি বাহিনীও যেন অপেক্ষা করছিল এই উইকেটেরই। এরপর হায়দ্রাবাদি ব্যাটিং অর্ডারে ভাঙন ধরাতে কোন অসুবিধা হয়নি আরসিবির। ১৫ তম ওভারে কার্যত বল হাতে ঝড় তুলে দেন ক্রিস্টিয়ান। প্রথমে প্রিয়ম গর্গ এবং পরে ৪৪ রান করে ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠতে থাকা জেসন রয়কেও ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি হায়দ্রাবাদ। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪১ রানেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট তুলে নেন হর্ষল প্যাটেল। দুটি উইকেট পান ক্রিস্টিয়ান, একটি করে উইকেট নেন চাহাল এবং গার্টন।
.@SunRisers have defended it and WIN by 4 runs.#VIVOIPL #RCBvSRH pic.twitter.com/BW4kPrl7M6
— IndianPremierLeague (@IPL) October 6, 2021
বল হাতে দিনটা ভালো গেলেও ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি আরসিবির জন্য। এদিনও ফের একবার ব্যর্থ হন অধিনায়ক কোহলি। রান পাননি ক্রিস্টিয়ান এবং শ্রীকর ভরতও। তবে ফের এদিন আরসিবির হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করেন দেবদূত এবং ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন রীতিমতো ধুঁকছিল আরসিবি তখন ফের একটু একটু করে জয়ের জন্য সলতে পাকাতে শুরু করেন তারা। অন্যদিকে দেবদূত কিছুটা সময় নিলেও গত দিনের মতোই আজও ম্যাক্সওয়েল ছিলেন একইরকম বিধ্বংসী। যদিও আজ নিজের বিধ্বংসী ইনিংস বেশি বড় করার আগেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। কিন্তু মাত্র ২৫ বলে ৪০ রানের এই ইনিংসে আজ আরসিবিকে ম্যাচে ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
কিন্তু অন্যদিকে দেবদূত আজ যেভাবে দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সেই চাপেই ৫২ বলে ৪১ রান করে রশিদের বলে নিজের উইকেট হারান তিনি। তার এই মন্থর গতির ইনিংসে রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছিল আরসিবিকে। আর ওস্তাদের মার যে শেষ রাতে এই নীতিকথা আজ আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন জেসন হোল্ডার। এর জন্য শেষ দুই ওভারে মাত্র ১৬ রান দরকার ছিল আরসিবির। এই রানও আজ তাদের তুলতে দেয়নি হায়দ্রাবাদ। তার ওপর আশা জাগানো শাহবাজকেও এদিন প্যাভেলিয়নের রাস্তা দেখান হোল্ডার। প্রশংসা করতে হবে ভুবনেশ্বরেরও। ভিলিয়ার্স সামনে থাকা সত্ত্বেও শেষ ওভারে ১৩ রান আটকে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪ রানে জিতে নেয় হায়দ্রাবাদ।