বালির মামলার পুনরাবৃত্তি, ‘প্রেমিককে বিয়ে করছি’ বলে ফোনে বাবাকে জানালেন পিংলার ‘বেপাত্তা’ বধূ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘প্রেমিককে বিয়ে করছি’, ফোনে বাবাকে এমনটাই জানালেন পিংলার (pingla) ‘বেপাত্তা’ গৃহবধূ। মেদিনীপুরের (medinipur) প্রেমিককেই বিয়ে করার কথা ফোন মারফত বাড়িতে জানিয়ে দিলেন গৃহবধূ সুদেষ্ণা মাইতি। বাড়ি থেকে বেপাত্তা হওয়ার দেড় দিন পর এমন ভাবেই খোঁজ মিলল পিংলার গৃহবধূর।

সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে গত ১৫ ই ডিসেম্বর একই সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছিলেন বালির নিশ্চিন্দার একই বাড়ির দুই বউ রিয়া কর্মকার ও অনন্যা কর্মকার। সঙ্গে আবার নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশকেও। বাড়িতে থেকে গোপনেই প্রেমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই দুই জা।

bhbhbvb

কিন্তু প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গেলে, অর্থের টানাটানিতে ফিরে আসতেই তাঁদের আসানসোল স্টেশন থেকে পাকড়াও করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। স্বামী দূরে থাকায় নিঃসঙ্গতা গ্রাস করেছিল বলে জানিয়েছিলেন দুই বউ। যে কারণেই বাড়িতে আসা মিষ্টিভাষী মিস্ত্রিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।

একইরকম না হলেও কিছুটা এই ধরনের আরও একটি ঘটনা দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার গোবর্ধনপুর অঞ্চলের দনীচক এলাকায়। এই এলাকার বাসিন্দা গোপাল মাইতি কর্মসূত্রে হাওড়াতে থাকেন। বাড়িতে থাকেন তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণা মাইতি এবং বছর পাঁচেকের এক ছেলে।

বৃহস্পতিবার সকালে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন সুদেষ্ণা। দীর্ঘক্ষণ পর বাড়িতে না ফিরলে, তাঁকে ফোন করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বোনকে খুঁজে বের করতে সুদেষ্ণার দাদা শুভঙ্কর সামন্ত ফেসবুকে একটি পোস্টও করেন। আবার সুদেষ্ণার শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়েরও করা হয়।

এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুরে বাবাকে সুদেষ্ণা জানান, ‘মেদিনীপুরের প্রেমিককে বিয়ে করছি’। এমন খবর পাওয়ার পর থেকে নিজের সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়া দাবি জানিয়েছেন সুদেষ্ণার স্বামী।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর