বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিলিগুড়ির বাসিন্দা রতন শীল (ratan sheel) গত ২২ শে জানুয়ারি এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলেও, রেফার করা হয়েছিল কলকাতায়। তারপর চার চারটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে SSKM-এ ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।
অর্থোপেডিকের সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও বেড খালি না থাকার দরুণ তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল মেডিসিন বিভাগে। অবশেষে চিকিৎসার অভাবে সোমবার সকালে প্রাণ হারান রতনবাবু। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে ২৭ তারিখ ভর্তির পর থেকে ২ তারিখ পর্যন্ত কোনরকম চিকিৎসা হয়নি রতনশীল চন্দ্রের। তারা দেহ নিতে অস্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যপ্রার্থী হয়েছিলেন।
হাসপাতাল থেকে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার পর এবার মিলল না পুলিশের সাহায্যও। মৃত্যুর পর প্রায় ২৭ ঘণ্টা কেটে গেলেও ময়নাতদন্ত হওয়ার পর এখনও দেহ পায়নি মৃতের পরিবার। মঙ্গলবার বিকেল ৩ টের সময় ময়নাতদন্তের পর সাড়ে ৩ টে নাগাদ ভবানীপুর থানায় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয় মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
ভবানীপুর থানায় গিয়ে কোন লাভ হল না। ঘটনাটি ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত ছিল। তাই ক্লিয়ারেন্সের কারণে ভক্তিনগর থানার আইসিকে মেল করেন ভবানীপুর থানার ডিউটি অফিসার। বিকেল ৪ টের সময় মেল করলেও, রাত ১১ টা অবধি কোন উত্তর আসেনি ভক্তিনগর থানার আইসির কাছ থেকে।
বারবার তাঁকে ফোন করা হলেও ফোন কেটে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে একবার নাকি তিনি ফোন ধরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ডিউটিতে রয়েছেন। তাই তিনি এখন এসব কেসে মাথা ঘামাতে পারবেন না। অগত্যা মর্গেই পড়ে পচন ধরতেও শুরু করেছে মৃতের দেহ।