বাংলা হান্ট ডেস্ক : তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেকে ‘তৃণমূলের লোক’ বলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জয়ী হওয়া বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। এরপরই উঠে আসে একাধিক প্রশ্নের। তাহলে কি বায়রন তৃণমূলে গিয়েই ভিড়বেন? কিন্তু এদিন সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস নেতা জানালেন তিনি কংগ্রেসেই (Congress) থাকবেন।
কলকাতায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি তৃণমূলে যাব এমন কোনও মন্তব্য করিনি। প্রথমদিন বিধানসভায় গিয়ে স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমার শপথ গ্রহণ কবে হবে? এই নিয়েই আলোচনা হয়েছিল। এরপর ওইখানে বসে এককাপ চা খাই।’
কংগ্রেস নেতার আরও বলেন, ‘এর জবাবে স্পীকার বলেছিলেন রাজ্যপালের কাছে থেকে কোনও খবর এলে তিনি জানাবেন। কিন্তু আমি এ কথা কখনও বলিনি যে আমি তৃণমূলে যাব বা ওই দলের বিধায়ক। স্পীকারকে আমি যথেষ্ঠ ভালোবাসি এবং শ্রদ্ধা করি। এই ধরনের কথা হয়ত উনি বাইরের কোনও মিডিয়ার কাছ থেকে শুনেছেন। এটা ভিত্তিহীন। আমার তৃণমূলে যাওয়ার কোনও ইচ্ছানেই। আমি কংগ্রেসে ছিলাম, আছি, থাকব। কংগ্রেসকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।”
তাহলে তৃণমূলের লোক বলতে কী বলতে চেয়েছেন বায়রন? রবিবার এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির কাছে বায়রন বিশ্বাস বলেন, ‘বিজেপি নয়, তৃণমূল থেকেই সমর্থন পেয়েছি। আমি তৃণমূলেরই লোক।’ মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা স্পষ্ট করে জানান তিনি নিজেকে ‘তৃণমূলের লোক’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন। বায়রন বলেন, ‘আমি এখনও বলব আমায় প্রচুর মানুষ ভোট দিয়েছেন। তাঁর মধ্যে তৃণমূলের মানুষও রয়েছেন, বিজেপির মানুষ রয়েছেন। এরা ভোট দিয়েছেন বলে আমি ওই দলে চলে যাব এমন কোনও কথা নেই। আমি যে প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলাম সেই প্রতীকেই থাকব। দল বদল অন্য কেউ করতেই পারেন। এটা নিয়ে যারা বিতর্ক করছে তাঁরা ভুল করছেন।’
বায়রন এদিন আরও বলেন, তৃণমূল বলতে আমি তৃণমূলীয় স্তর বলতে চেয়েছিলাম। মাটির মানুষের কথা বলেছিলাম। আমি মাটির মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চাই। তাঁদের কাজ করব।’ কয়েকদিন আগে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বায়রন তৃণমূলেই আছেন। স্পিকারের সেই মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে।