‘AB অফিসে ঢুকতে দেয় না, চাকর দিয়ে তাড়িয়ে দেয়! CBI-কে সব সত্যি বলব”, বিস্ফোরক তাপস সাহা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতিতে কাণ্ডে নয়া মোড়। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই উল্টো সুর তাপস সাহার গলায়! তৃণমূলের এককালের বিশ্বস্ত সৈনিকের মুখে হঠাৎই বিরোধীতার কথায় কপালে ভাঁজ পড়েছে জোড়াফুল নেতৃত্বের!

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে তাপস জানান, সিবিআই (CBI) তদন্তকে স্বাগত। সিবিআই তদন্ত করেও কিছু পাবে না। তাপস সাহা কারও থেকে পাঁচটা পয়সাও নেয়নি। পরক্ষণেই আবার তাপস বলেন, ‘সিবিআইকে সব সত্যি বলে দেব।’

tapas saha

তাপস আদতে পলাশিপাড়ার বিধায়ক। একুশের বিধানসভা ভোটে তাঁর নির্বাচন কেন্দ্র বদল হয়। তাঁকে তেহট্টের প্রার্থী করা হয়। অপর দিকে পলাশিপাড়ায় প্রার্থী করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে। তৃণমূলে সূত্রে তখন বলা হয়েছিল, তাপসের বিরুদ্ধে স্থানীয় স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা তৈরি হয়েছিল।

কেন্দ্র বদলের প্রশ্নে এদিন তাপস বলেন, ‘মানিক বহু টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে। আমি সেটা পারিনি।’ তাঁর কথায়, এ পার্টিতে কে কার কথা শোনে! দিদি ব্যতিক্রম। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এবি আমার সঙ্গে কোনওদিন কথা বলেননি। তাঁর অফিসে গেলে চাকরবাকর দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।’

প্রসঙ্গত, তাপস সাহা এতদিন নিজেকে তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক বলে দাবি করতেন। এর আগে দলের রাজ্য নেতাদের উদ্দেশে কখনও তাঁকে বলতে শোনা যায়নি। কিন্তু সিবিআই তদন্তের মুখে পড়ে হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে ওঠায় অবাক অনেকেই। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে দলের এক মুখপাত্র বলেন, হতে পারে তাপস কাউকে বার্তা দিতে চাইছে। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় কেচে সিবিআই তদন্ত থেকে বাঁচা যায় কিনা সেই চেষ্টা করেই দেখছে হয়তো


Sudipto

সম্পর্কিত খবর