২০১১ বিশ্বকাপের দুঃখ ভোলেননি শোয়েব, “আমি থাকলে ভারত জিততো না” মন্তব্য পাক পেসারের

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১ সেমিফাইনালের কথা নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে। কোয়ার্টার ফাইনালে টানা ৩ বারের বিজয়ী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিতে উঠেছিল ভারত। মোহালিতে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে সেওবাগ-সচিনের দুর্দান্ত ওপেনিং পার্টনারশিপে ভর করে শুরুটা ভালো করেছিল ভারত। কিন্তু ধোনি, রায়নারা খুব একটা ভালো ফিনিশ করতে পারেননি। ফলস্বরূপ ৫০ ওভারে ২৬০ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁ-হাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।

ওই ম্যাচে সচিন বেশ কয়েকবার ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়ে শেষপর্যন্ত ৮৫ রান করেছিলেন। ওপেনিংয়ে বীরেন্দ্র সেওবাগ একটি আক্রমণাত্মক ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। উমর গুলদের ডেলিভারিগুলিকে বার বার বাউন্ডারির রাস্তা দেখাচ্ছিলেন নজফগড়ের নবাব। পিচে ব্যাটিং করা খুব একটা সোজা ছিল না। মিসবা উল হকের প্রবল চেষ্টা সত্ত্বেও পাকিস্তান ৪৯.৫ ওভারে ২৩১ রান তুলে অলআউট হয়ে যায়। সচিন সেওবাগের সেই ওপেনিং পার্টনারশিপই দুই দলের মধ্যে তফাৎ গড়ে দিয়েছিল।

shoaib akhter nabi

সেই দিন চোটের কারণে পাকিস্তান স্কোয়াডে থাকলেও মাঠে নামতে পারেননি শোয়েব আখতার। সেই নিয়ে এখনও আপসোস কাটেনি পাক তারকার। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি সেদিন মাঠে থাকলে ভারতের জয়ের রাস্তাটা এত সহজ হতো না। তিনি মাঠে থাকলে সচিন, সেওবাগকে আটকানোর উপায় বের করে ফেলতেন বলে মনে করেন শোয়েব।

কিংবদন্তি পাক পেসার সম্প্রতি বলেছেন, “আমি জানতাম ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে বড় সমস্যা তৈরি করবে। আমি যদি সেই সময় মাঠে থাকতাম তাহলে সচিন আর সেওবাগকে আউট করতে পারতাম। খেলতে না পারায় আমি অত্যন্ত হতাশ হয়েছিলাম, হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ড্রেসিংরুমে ভাঙচুরও করে ফেলেছিলাম।”

Avatar
Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর