বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নিজের বইতে ‘হিন্দুত্ব’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে মহা বিপাকে পড়লেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ (salman khurshid)। কিন্তু পালটা মন্তব্য করে খুরশিদ বললেন, যারা ইংরেজি জানেন না, তারাই এই বইটির বিরোধীতা করছেন। এমনকি সংবিধান সম্পর্কেও তাঁদের ধারণা নেই বলে দাবি করলেন সলমন খুরশিদ।
শুক্রবার কল্কি উৎসবে যোগ দিতে উত্তর প্রদেশের সম্বলে পৌঁছেছিলেন সলমন খুরশিদ। আর সেখানেই নিজের লেখার সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে সমালোচকদের বিঁধলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কিছু মানুষ আছেন, যারা হিন্দুধর্মের শত্রু। তাঁরা চায় না তাঁদের সত্যিটা সামনে আসুক। তবে হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমার কোন সমস্যা থাকলে, আমি এই কল্কি উৎসবে যোগ দিতাম না’।
সলমন খুরশিদ বলেন, ‘আমি কখনই লিখিনি যে হিন্দু ধর্ম ISIS এবং বোকো হারামের মত, কখনই বলিনি যে হিন্দুত্ববাদীরা আরবী ভাষায় কথা বলে। আসলে বইটা ইংরেজিতে লেখাই আমার ভুল হয়েছে। মানুষ ইংরেজিতে বেশ দুর্বল। তবে বলব- না বুঝতে পারলে, বাংলায় অনুবাদ করে নিন’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখানে প্রথমবার নয়, আগেও অনেকবার এসেছি। প্রতি বছরই আমি কল্কি মহোৎসবে আসি। আমি মনে করি আশ্চর্যজনকভাবে সীমাহীন এবং শান্ত ধর্ম হল হিন্দু ধর্ম। আমার মনে হয়, হিন্দু ধর্মের কিছু শত্রু এই বিষয়ের মধ্যে ঢুকে হিন্দুধর্মের নাম ব্যবহার করে কলুষিত করার চেষ্টা করছে। আর তাঁরা চায় না তাঁদের সত্য সামনে আসুক। আর সেই কারণেই এই বই তাঁরা নিষিদ্ধ করার পক্ষে’।
এদিনের এই উৎসবে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভজন লাল জাটভ, ছত্তিশগড়ের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অমরজিৎ ভগত, রাজ্যসভার সাংসদ দীপেন্দর হুডা এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। এমনকি সেখানে কল্কি মহোৎসবে শঙ্করাচার্যের থেকে আশীর্বাদও নেন সালমান খুরশিদ।
প্রসঙ্গত, ‘Sunrise Over Ayodhya: Nationhood in Our Times’- সলমন খুরশিদের সদ্যই প্রকাশিত এই বইয়ের একটি লাইন নিয়ে বর্তমান সময়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশে। যার অর্থ, ‘উগ্র হিন্দুত্ববাদ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে সনাতন ধর্ম বা সনাতন হিন্দু ধর্ম। আর এই হিন্দুত্ব ISIS এবং বোকো হারামের মত উগ্র জেহাদি সংগঠনে সাহায্য করে’।