বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে কয়লা এবং গরু পাচার, একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। প্রতিদিনই বঙ্গবাসীর সামনে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসে চলেছে। এর মাঝেই গতকাল কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Malay Ghatak) বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। এ প্রসঙ্গে মলয়বাবুর সাফ জবাব, “বিজেপির লোক ছাড়া কয়লা পাচারে কেউ জড়িত বলে মনে হয় না। যদি আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখানো যায়, তবে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।”
উল্লেখ্য, গতকাল সকালে মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই অফিসাররা। আসানসোলের বাড়িসহ কলকাতার কোয়ার্টারেও তল্লাশি চালায় তদন্তকারী সংস্থা। দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ধরে চলে এই তল্লাশি। অবশেষে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘হেনস্থা’-র বিষয় সামনে এনে আইনমন্ত্রী জানালেন, “কয়লা পাচার কাণ্ডে আমার কোন যোগসূত্র নেই।”
গতকাল মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই টিম পৌঁছে যাওয়ার খবর সামনে আসতেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। আসানসোল লেক গার্ডেন্স-র পাশাপাশি মলয়বাবুর কলকাতার কোয়ার্টারেও হানা দেয় তারা। দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ধরে এই সকল বাড়িগুলিতে তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে বেরিয়ে যায় তদন্তকারী অফিসাররা।
পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে মলয়বাবু বলেন, “আমার বাড়ির সংখ্যা নিয়ে একাধিক স্থানে নানা জল্পনা চলছে। আমার কিন্তু ৬ টা বাড়ি নেই। আসানসোলের পৈতৃক বাড়িটিতে আমার ভাই থেকে শুরু করে পিসিদের ভাগ রয়েছে। লেক গার্ডেন্সের বাড়ি বিক্রি করা হয়েছে আর ছেলের যে বাড়ি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটা প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকার লোন নিয়ে ক্রয় করা হয়েছে আর বাকি টাকা আমি আমার বেতন (২০ লক্ষ) থেকে দিয়েছি।”
সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী জানান, “আমার বাড়িতে তল্লাশি করতে আসার আগে সিবিআই কোনরকম আগাম নোটিশ প্রদান করেনি। এমনকি, ওদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট পর্যন্ত ছিল না। পরবর্তীতে রাজভবনের কোয়ার্টারে তল্লাশি চালিয়ে ওরা মাত্র ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।” তিনি জানান, “কয়লা পাচার কাণ্ডে আমার কোনরকম যোগসূত্র নেই। এক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে কোনরকম মেইলও পাইনি আমি। অতীতে সাক্ষী হিসেবে আমাকে তলব করা হলেও সেই সময় আসানসোলে পুরভোট ও লোকসভা উপনির্বাচন থাকায় উপস্থিত থাকতে পারিনি।”
এরপরই বিজেপিকে বিঁধে মলয়বাবু জানান, “কয়লা পাচার কাণ্ডে আসানসোলের বিজেপির লোকরা জড়িত রয়েছে বলে আমার মনে হয়। আমাকে হেনস্থা করার জন্য এসব করা হয়ে চলেছে। যদি এই কাণ্ডে আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ বের হয়, তবে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।”