বাংলা হান্ট ডেস্ক : এই প্রথম মুখ খুললেন শিক্ষা দুর্নীতিতে নাম উঠে আসা হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। ইনিই সেই ধৃত কুন্তল ঘোষের সেই ‘রহস্যময়ী নারী’। তিনি এদিন দাবি করলেন, ‘আমি কোনও ভাবেই এই দুর্নীতি সঙ্গে জড়িত নই। জানি না, কী ভাবে দুর্নীতি হয়। কোনও ধারণাই নেই আমার। আমাকে শুধু শুধু হেনস্তা করা হচ্ছে।’ তাঁর নাম প্রথম সামনে এনেছিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তিনি বলেছিলেন, ‘খোঁজ নিন। কোন রহস্যময়ীর কাছে সমস্ত টাকা রয়েছে।’ তার পরই হৈমন্তীর নাম গোয়েন্দাদের সামনে নিয়ে আসেন।
এরপরই শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) স্ত্রী হৈমন্তীর নাম। তাঁর হাওড়ার বাড়ির সামনে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। তাঁর মা জানান, মেয়ে এ সবের সঙ্গে জড়িত নন। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগও হচ্ছে না তাঁর। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি যোগাযোগ করেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। প্রথমে মেসেঞ্জারে, পরে হোয়াটসঅ্যাপে তারও পরে ফোনে কথা বলেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘কেউ একটা আমার নাম বলে দিল। আর সেটা যাচাই করা হল না? এই কুন্তলকে আমি তো চিনিই না।’
গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়কে তো চেনেন কিনা সেই প্রশ্নের জবাবও দেন অকপটে। তিনি বলে, ‘চিনি মানে? ২০১২ সালে আমাদের বিয়ে হয়। এখন বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।’ গোপালের নাম তো উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। এই প্রসঙ্গে হৈমন্তীর দাবি, ‘আমি সিনেমার জগত নিয়ে থাকি। গোপালবাবুর সঙ্গে যখন থাকতাম, তখনও সিনেমার জগত নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। উনি কাজ করতেন জানতাম। তবে, তাঁর কাজ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আমার কাজ নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হত।’
এরপর কুন্তলের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে হৈমন্তী জানান, ‘কখনও এমন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ছিল না। আমি স্বাধীন। নিজের মতো কাজ করতাম, নিজের মতো চালাতাম। আমার সঙ্গে গোপালবাবুর আর্থিক কোনও লেনদেন ছিল না। আমি ছোট থেকে লড়াই করেছি। কখনও কারও থেকে সাহায্য নিইনি।’ গোপালের মুখে কখনও কুন্তলের না শোনেননি বলেই দাবি করেন হৈমন্তী
হৈমন্তী আরও বলেন, ‘বিশ্বাস করুন। আমি অসুস্থ ছিলাম। কলকাতার বাইরে ছিলাম। এখনও কলকাতার বাইরে। বাইরে বসে প্রথম যখন শুনি এ ভাবে দুর্নীতিতে আমার নাম জড়ানো হয়েছে, আমার এতটাই শক লেগেছিল যে নার্ভ ফেল করে যায়। যে কারণে বাড়িতেও যোগাযোগ করতে পারিনি