বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কৈলাশে ফিরে গিয়েছেন মা উমা। এবার তোরজোড় শুরু হয়েছে মা কালীর আগমনের। আবার তার আগেই রয়েছে উপনির্বাচন। তবে এরই মধ্যে দুর্গা পুজোয় পুজো উদ্বোধনের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এবারের দুর্গা পুজোয় প্রায় শতাধিক পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেরাননি কারো অনুরোধ। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গিয়েছিলেন পুজো উদ্বোধন করতে। আর তাতে করেই কিছুটা ঠাণ্ডা লেগে যায় মুখ্যমন্ত্রীর। শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রবিবার সেই কথাই শেয়ার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০ টা বছর কাজ করতে করতেই কেটে গেছে, কোনদিন জ্বর জ্বালা হয়নি। আর ঠান্ডা লাগলে, একটু বেশি করেই লাগে, তাই ভাঙা গলায় কম কথা বলতে হয় তখন’।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রায় ৪৬০টি ক্লাবের উদ্বোধন করেছি প্রচন্ড বর্ষার মধ্যেও। প্রায় ১৫০-২০০ পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে বৃষ্টি ভিজে প্রচন্ড ঠান্ডা লেগে যায়। পুজোর সময় গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছিল না। পুরোপুরি এখনও সেরে উঠিনি, এখনও কাশি রয়েছে। তবে অনুষ্ঠান তো আর থামিয়ে রাখা যায় না’।
তবে এরই মধ্যে পুজোর গান রেকর্ডিং-র গল্পও শেয়ার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘৩০ তারিখ ভবানীপুরে নির্বাচনের পূর্বে ২৯ তারিখ সন্ধ্যেবেলায় নচিকেতা, ইন্দ্রনীল দেখা করে। তখন ইন্দ্রনী বলল, ওঁর বাড়িতে একটা স্টুডিয়ো আছে। আমিও বললাম, কই দেখাও কেমন’।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখলাম ছোট্ট একটা খুপে ঘর। তখন নচি বলল আজই গান হবে। আমি বললাম, প্র্যাকটিস নেই, আলোচনা নেই, যা ইচ্ছে তাই করলেই কি হবে? তখন ওরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই কতগুলি মন্ত্রকে নিয়ে এল। সেখানে এক লাইন বগলামুখী মায়ের, মা দুর্গা, মা কালী সব মিলিয়ে বারো মাসে তেরো পার্বণকে আলোকিত করেই গান হল’।