‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম দল ছেড়ে দেব!’, দুর্গাপুরের মেলায় দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন অনুব্রত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দিয়েছিলেন সাংসদ হওয়ার অফার। রাজী না হয়ে উলটে চেয়েছিলেন দল ছাড়তে- এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal)। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার লাগোয়া পলাশডিহায় স্থানীয় একটি ক্লাব আয়োজিত ‘আদিবাসী মিলনমেলা’র উদ্বোধনে এসে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের ‘কেষ্ট মণ্ডল’।

এই মেলা চলবে আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এদিনের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল, ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৮ শে নভেম্বর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেন। এদিন তাঁর ডাকেই এখানে এসেছেন বলেই জানালেন অনুব্রত মণ্ডল।

Anubrata Mandal is coming to kolkata for treatment

সুনীল সোরেনকে কেন্দ্র করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘শিল্প হচ্ছে ডেউচা-পাঁচামিতে। আর সেখানের দায়িত্ব আমি সুনীলের উপর দিয়েছি’। এবিষয়ে সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন, ‘ডেউচা-পাঁচামিতে সবই যদি সুষ্ঠু ভাবে করা হলে, সেখানে অন্যান্য দলের সদস্যদের যেতে বাঁধা দিতেন না অনুব্রত মণ্ডল’।

আবার এই বিষয়ে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই শাসকদলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে খনি তৈরি করতে গিয়ে। আর সেখানে বিরোধীদের জন্য ‘প্রবেশ নিষেধ’ বোর্ড লাগানো হয়েছে অনুব্রতর নির্দেশেই’।

তবে এদিন এই সভা থেকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘সাংসদ, মন্ত্রী বা বিধায়ক নই আমি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই আমি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে আমাকে সাংসদ করার প্রস্তাব পেয়ে, দল ছেড়ে দেব বলেছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক জন সাধারণ সৈনিক আমি। কোন লোভ নেই আমরা। উনি যা বলবেন, তাই করব’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর