বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন পটাশপুরের জনসভা থেকে একের পর এক তোপ দেগেছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিরোধী দলনেতা। এদিন তিনি দাবি করেন ২০০৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জয়লাভ করে কার্যত তারই দায়িত্বে। এরই সঙ্গে মমতা সরকার পশ্চিমবঙ্গের বুকে মাটি হারাচ্ছে বলেই মনে করেন তিনি, তাও বলেছেন প্রকাশ্যেই।
এদিন সভার মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘মানুষ মমতার সঙ্গে নেই। কেন নেই? ১১ সালের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারক আমি ছিলাম। ২০০১ সালে এই এলাকা থেকে যখন চৈতন্যময় নন্দকে প্রার্থী করে তৃণমূল তখন তিনি রাজি হননি। কারণ তাঁর দাদা কিরণময় নন্দের অর্থে তাঁর সংসার চলে। তখন মমতা আমাকে প্রার্থী করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই এলাকাল মটোরসাইকেল নিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আজ যারা এই তোলামুলের নেতা, বড় বড় কথা বলেন সে দিন ঘর থেকে বেড়ানো ক্ষমতা ওদের ছিল না। আমি এদের চিনি। ২০১১ সালের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই। বলেছিলেন আমাকে ক্ষমতায় আনুন, চাকরি কী করে দিতে হয়, শিল্প কী করে করতে হয় দেখিয়ে দেব। আমার কোনও পরিবার নেই। আমার মাতৃদেবী আছেন। বাংলাই আমার পরিবার।’
বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আজ আপনারা কী পেয়েছেন? বাম আমলে ২ লক্ষ কোটি ঋণের বোঝা ছিল। তৃণমূল আমলে সেটা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ কোটি। ২০১১ তে পরিযায়ী শ্রমিক ছিল ৫ লক্ষ, এখন পরিযায়ী শ্রমিক ৪৫ লক্ষ। বেকারের সংখ্যা আকাশ ছুঁয়েছে।’
সরাসরি মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্র আর দেখতে পান? ১৫০০ টাকার বেকার ভাতার দেখা পাওয়া যায়? কোনো শিল্পও আসেনি। এই রাজ্যের নেত্রী বটে, শিল্প ভাগান গুজরাটে। লাইন দিয়ে কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। কত ছেলেমেয়ে বাইরে কাজ করতে যায় তা কেউ জানত না। করোনা হল তখন সবাই ফিরে এল। তারপরই বোঝা গেল এই রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত!’
সরকারি চাকরিতে ভাটা নিয়েও তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন তুলে দিয়েছে। পরীক্ষা আর হয় না। শেষ বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল ২০১৭ সালে। তারপর আর হয়নি। পাব্লিক সার্ভিস কমিশন তুলে দিয়েছে। ২০১৯ সালে শেষ বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল। আজ ২০২৩ সাল। সর্বত্র দোকান খুলে চাকরি বিক্রি হয়েছে। মেধা যুক্ত লোকেরা চাকরি পায়নি। পার্থ-অপা সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে।’