বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একদিকে বাংলা সহ দেশের বেশকয়েকটি রাজ্যে চলছিল একুশে জুলাই শহীদ স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির (mamata banerjee) বক্তৃতা, আর অন্যদিকে ওই একই সময়ে চলছিল বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’ উদযাপন।
মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সময় মিলিয়ে প্রায় একই সময়ে হেস্টিংস-এর কার্যালয়ের সভাঘর থেকে তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাত করার প্রতিশ্রুতি নিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। ‘নন এমএলএ’ মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গাল সে ইসকো উখাড় ফেক নে কে লিয়ে জো করনা হ্যায়, শুভেন্দু সব করেগা’। আর শুভেন্দুর এই ভাষণেই হাততালিতে ভরে গিয়েছে হেস্টিংস-এর কার্যালয়।
এদিন সভা মঞ্চ থেকে মমতা ব্যানার্জী ছাড়া তৃণমূলের বাকি নেতাদের ল্যাম্প পোস্টের সঙ্গে তুলনা টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘বিধানসভার উপনির্বাচন করানো নির্বাচন কমিশনকে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। অথচ রাজ্যে ১১০ টা পৌরসভা ও পৌরনিগমে ভোট করাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি বিগত ৪ বছর ধরে রাজ্যের কলেজগুলিতেও করতে দেননি ছাত্র ভোট। কিন্তু ভবানীপুরে উপনির্বাচন করাতে উঠে পড়ে গেছেন তিনি। কারণ তৃণমূলে নেত্রী ছাড়া বাকি সকলেই ল্যাম্পপোস্ট’।
এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘এক কান কাটা ব্যক্তিরা, দেখবেন রাস্তার একপাশ দিয়ে চলে। আর দুকান কাটা যার, সে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলে। আর এই হেরো নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী এমন সরকার চালাচ্ছেন যে করোনার মধ্যেও লকডাউন তুলে দিচ্ছেন। স্কুল-কলেজ আর রেল বাদে সব চলছে। আর রেল ক্ষতিগ্রস্থ হলে, তো উনি বেজায় খুশি’।