বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার শাসক দলের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। ছেড়ে কথা বললেন না বিরোধী দলনেতাও। বৃহস্পতিবার কাগজপত্র হাতে নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এদিন বিধানসভা (WB Assembly) চত্বরে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার এক বিধায়ক ও তিন জন নেতার সম্পত্তির হিসাব দেন শুভেন্দু। আর তার পরই তিনি বলেন, তৃণমূলের একশ জন বিধায়ক, নেতা, ব্লক সভাপতির সম্পত্তির হিসাব রয়েছে আমার কাছে। পার্টি অফিসে এদের অনেকের টাকা নেওয়ার ছবিও আমার কাছে আছে। একটু একটু করে সব ফাঁস করব এবার।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, ‘কারও হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও আয়কর দফতরের তদন্ত করার অধিকার রয়েছে। সাধারণ মানুষ চাইলে কারও বিরুদ্ধে তথ্য তাদের কাছে দিতেই পারে। আমি ঘোষণা করে বলছি, তৃণমূলের এই সব নেতার সম্পত্তির হিসাব আমি ইডিকে দেব।’
বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশন সকাল থেকেই ছিল বেশ জমজমাট। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন চোর স্লোগান তোলে বিজেপি, তখন শাসক দলের মূল নিশানাই ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে স্লোগান ও পাল্টা স্লোগান বিধানসভার উঠোন পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। এর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু।জানা গেছে, এদিন শুভেন্দু যে চার তৃণমূল নেতার সম্পত্তি হিসাব দিয়েছেন তাঁরা হলেন গণেশ চন্দ্র মণ্ডল, জাহাঙ্গীর খান, গৌতম অধিকারী ও রহমাতুল্লা ফকির।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন বলেছেন, তৃণমূলের ৯৯ শতাংশ কর্মী সৎ। আমি বলছি তৃণমূলের ৯৯ শতাংশ নেতাই অসৎ। তাঁদের অসততা কতদূর প্রসারিত তা আমি ফাঁস করবই। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এদিন পাল্টা চোর স্লোগান তোলে তৃণমূল বিধায়করাও। তার উপর পাল্টা শুভেন্দু বলেন, আজকে শুভারম্ভ করলাম। অর্থাৎ শিলান্যাস করে চার জন তৃণমূল নেতার সম্পত্তির হিসাব দিলাম। আগামী সপ্তাহে আবার চার জন তৃণমূল বিধায়ক-নেতার সম্পত্তির হিসাব দেব। এটা তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র।’