বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যপাল নিয়োগের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেই জানানো হয়নি তাই শপথ গ্রহণের পর থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে।একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল এবং মমতা দুজনের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দুজনের প্রতিই।যদিও ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করেছেন রাজ্যপাল,তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়া কিংবা কালীঘাটের বাড়িতে কালীপুজো উপলক্ষে উপস্থিত হওয়া সবটাই করেছেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল।
তবে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপালকে কেন্দ্রের প্রবক্তা গলায় কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যপাল।সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে নিজেকে কেন্দ্রের এজেন্ট বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করেছেন আর তাই সেই কর্তব্য তিনি পালন করেছেন এমনটাই বলেন জগদীপ।
আসলে এর আগে বেশ কয়েকবার শাসক শিবিরের তরফ থেকেই রাজ্যপালকে রাজ্যের অতিথি বলে সম্বোধন করা হয়েছিল, এবার প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠকে সেই অতিথির জবাব দিলেন তিনি। তাই সরাসরি তিনি অতিথি নন সংবিধান অনুযায়ী তিনি কাজ করতে এসেছেন এমনটাই বললেন জগদীপ , এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমান্তরাল সরকার কথার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কোনও মন্ত্রীকে তিনি চিঠি লেখেননি বলে জানান।
পাশাপাশি রাজ্যের যে কোনও সমস্যায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করা কর্তব্য বলে জানিয়েছেন, এমনকি এ দিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বুলবুল ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তাঁকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি রাজ্যে যে কোনও সমস্যায় বিভিন্ন প্রান্তে যেতে প্রস্তুত বলে জানান রাজ্যপাল।
উল্লেখ বেশ কয়েকবার রাজ্যপালের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কয়েক মাসের মধ্যেই বিশেষ করে যাদবপুর কাণ্ডে যখন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয় তখন রাজ্যপাল তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আর তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে যাবতীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
প্রকাশ্যে বেশ কয়েকবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বদের, বিশেষ করে রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে যখন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের নিয়ে অভিযোগ তোলেন ঠিক আগুনে ঘি হারার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমনকি সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যপাল প্রসঙ্গ তোলার কথাও হয়েছিল।