বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুজনেরই কর্মব্যস্ত জীবন, দুজনেই দেশের প্রতি দায়বদ্ধ। তাই ছুটি পাবার অবসর নেই। কথা ছিল প্রেম দিবসে চার হাত এক করবেন কিন্তু সময়ের কাজের চাপে বিয়েটা সারতে হল দফতরেই। এমনই অভিনব বিয়ের সাক্ষী থাকল দেশ।
পাত্র উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক তুষার সিংলা। তিনি আইএএস অফিসার। পাত্রী বিহারের পটনার ডিএসপি নভোজিৎ সিমি। তিনি আইপিএস। কর্মসূত্রে দুজনেই দারুন ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার ফাঁকে নিজের দফতরেই বিয়েটা সেরে নিলেন মহকুমা শাসক তুষার সিংলা। মহাকুমা শাসকের দফতরে হল রেজিস্ট্রি।
দুজনেই আদতে পাঞ্জাবের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে দুজনেই আছেন দুই রাজ্যে। সেই সূত্রেই আলাপ। অবশেষে পরিচয় থেকে পরিণয়। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত বিয়ের। কাজের চাপে দুজনেই সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। তাই ভালবাসার দিনে ভালবাসার কর্মস্থলকেই বেছে নিয়েছিলেন ।
রেজিস্ট্রির পর খুশিমনে পাত্র পাত্রী তাদের রিসেপসনে আমন্ত্রন জানালেন। ভবিষ্যত পরিকল্পনা হিসাবে আইএএস অফিসার জানিয়েছেন, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ভোট মিটে গেলে মনের মানুষকে এখানে নিয়ে আসবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি দেখা গেল মহকুমা শাসক সাদা জামার উপর কালো কোর্ট-প্যান্ট পরে চেয়ারে বসে। পাশের চেয়ারে বসে মেরুন রঙের শাড়ি পরা এ নভোজিৎ সিমির মাথায় সিঁদুর। শুক্রবার মহকুমা শাসকের বাংলোতে দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই রেজিস্ট্রি বিয়ে সারেন মহকুমা শাসক। উপস্থিত ছিলেন তুষারের মা কিরণ সিংলা। নভোজিৎ সিমির মা দলবীর কউর, বাবা হংসরাজ। নভোজিৎ সিমির ভগ্নিপতি বিশাল গোয়েল। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই নভোজিৎ সিমি পাটনা থেকে সপরিবারে চলে এসেছিলেন হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়।