টেনেটুনে মাধ্যমিক পাশ, কঠোর পরিশ্রম করে আজ IAS অফিসার তুষার! ভাইরাল হল তার মার্কশিট

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরের এই সময়টায় বিভিন্ন রাজ্যে পড়ুয়াদের একাধিক পরীক্ষার ফল বেরোচ্ছে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে, দশম শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণির মত পরীক্ষার ফলাফলও। এছাড়াও, জয়েন্টের মত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার রেজাল্টও প্রকাশিত হয় এই সময়। এমতাবস্থায়, অনেকেই রেজাল্ট অত্যন্ত ভালো করে জীবনের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি শুরু করে নেয়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেজাল্ট তুলনামূলকভাবে কিছুটা খারাপ হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে বহু পড়ুয়া।

যার ফলে পড়াশোনার উদ্যমও হারিয়ে ফেলে তারা। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি তাঁর দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সামান্য কিছু নাম্বার পেলেও বর্তমানে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন IAS অফিসার। অর্থাৎ খারাপ রেজাল্টকে পাত্তা না দিয়েই বরং তিনি লড়াই করে আজ পৌঁছে গিয়েছেন এক অনন্য জায়গায়। আর তাঁর এই লড়াই স্বাভাবিকভাবেই অনুপ্রাণিত করবে হাজার হাজার জনকে।

মূলত, আজ আমরা গুজরাটের ভারুচ জেলার কালেক্টার তুষার সুমেরার এক অনবদ্য প্রসঙ্গ আপনাদের জানাতে চলেছি। বর্তমানে তিনি একজন সফল IAS অফিসার হলেও তাঁর দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল জানলে চমকে উঠবেন আপনিও! ইতিমধ্যেই তাঁর সেই মার্কশিটটি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেখানে দেখা গিয়েছে, ওই পরীক্ষায় তিনি ইংরেজিতে পেয়েছিলেন মাত্র ৩৫ এবং অঙ্কে তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৩৬ নাম্বার। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানেও তাঁর প্রাপ্ত নাম্বার ছিল মাত্র ৩৮। এমতাবস্থায়, তাঁর এহেন রেজাল্টের সমালোচনা করেছিলেন সবাই। পাশাপাশি, স্কুল থেকে তাঁকে এও বলা হয় যে, তিনি জীবনে কিছুই করতে পারবেন না। অথচ আজ তুষার দেশের অন্যতম একটি কঠিন পরীক্ষায় সফলতা লাভ করে নিজেকে প্রমাণিত করেছেন।

ইতিমধ্যেই তুষারের প্রসঙ্গটি এবং তাঁর মার্কশিটের একটি ছবি সামনে নিয়ে এসে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করেছেন IAS অফিসার অবনীশ শরণ। পাশাপাশি, তাঁর এই উত্তরণকে কুর্ণিশও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, তুষারও অবনীশ শরণের ওই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে রি-টুইট করে লিখেছেন, “ধন্যবাদ স্যার।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারুচের “Utkarsh Samaroh”-র প্রসঙ্গে তুষারের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

এদিকে, IAS অফিসার অবনীশ শরণের এই টুইট ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে। এখনও পর্যন্ত ১৭ হাজারেরও বেশি জন লাইক করেছেন এটি। পাশাপাশি, প্রায় ৩ হাজার জন রিটুইট করেছেন। এছাড়াও, এই পোস্টের ভিত্তিতে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এই প্রসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ডিগ্রি নয় বরং প্রতিভাই গুরুত্বপূর্ণ।’ পাশাপাশি, আরেকজন লিখেছেন, “গভীর অধ্যবসা থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।” এক কথায়, তুষার প্রমাণ করে দিয়েছেন যে দশম শ্রেণি হোক বা দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল, এগুলি দিয়ে কখনোই ভবিষ্যতের জীবনকে নির্ধারণ করা যায়না। বরং, পরিশ্রমের ফলে সবকিছুই হাসিল করা সম্ভব।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর