বাংলাহান্ট ডেস্ক : আইএএস অফিসার সৃষ্টি দেশমুখের জীবন রূপকথার থেকে কম কিছু নয়। অত্যন্ত সাধারণ ভারতীয় পরিবারে মানুষ হয়েছেন সৃষ্টি। তবে সৃষ্টির একের পর এক সাফল্য তাকে করে তুলেছে অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ২০১৮ সালের ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করে সবাইকে অবাক করে দেন সৃষ্টি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি তার রেজাল্ট ভাইরাল হয়েছে। তারপরই এখন সবার উৎসাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই আইএএস অফিসার। ইউপিএসসি পরীক্ষায় মোট ১০৬৬ নম্বর পেয়েছিলেন সৃষ্টি দেশমুখ। গড়ে প্রতিটি বিষয়ে ৯০% নম্বর পেয়েছেন তিনি। এসে পেপারে ১১৩ নম্বর, ঐচ্ছিক ১ (সোসিওলজিতে) ১৬২ নম্বর পান সৃষ্টি। দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় প্রথমবার বসে সৃষ্টির সাফল্য অনেককেই অবাক করে দিয়েছিল।
আরোও পড়ুন : HDFC, Axis, ICICI এর ক্রেডিট কার্ড আছে? নয়া নিয়ম আনল ব্যাঙ্ক, না জানলেই বিপদ
জানা গেছে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অনলাইন মাধ্যমের সাহায্য নিয়েছিলেন সৃষ্টি। পাশাপাশি ভর্তি হয়েছিলেন কোচিংয়ে। নির্বাচন প্যানেলে শারীরিক ভাষা এবং মনোভাব সঠিক রাখার জন্য দিয়েছিলেন একাধিক মক টেস্ট। সৃষ্টি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ইউপিএসসি আইএএস পরীক্ষায় এক বারেই পাশ করব, সেই আত্মবিশ্বাস ছিল’। তবে সৃষ্টি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিয়েছিলেন আরো একটি সিদ্ধান্ত।
UPSC পরীক্ষায় সাফল্য না পেলে তিনি কী করতেন? এই বিষয়ে সৃষ্টি জানিয়েছেন, ‘‘যদি ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে বিকল্প হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং করে রাখি। যাতে চাকরি পেতে সমস্যা না হয়। স্নাতক হওয়ার পরই প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। তখন অবশ্য এতটা আত্মবিশ্বাস ছিল না। মক টেস্ট সিরিজে ভাল পারফরম্যান্সে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ে। বুঝতে পারছিলাম, তালিকায় আমার নাম থাকবে। তবে কখনওই মহিলাদের বিভাগে সেরা হব ভাবিনি।’’
ভোপালের কস্তুরবা নগরে ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন সৃষ্টি। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণীতে ৯৩.৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন ভোপালের রাজীব গান্ধি গর্বযোগিকী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার বাবা জয়ন্ত দেশমুখও একজন ইঞ্জিনিয়ার। মা একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। সৃষ্টি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ড. নাগার্জুন গৌড়ার সাথে।