বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়া রেল স্টেশন চত্বর। প্রায় প্রতিটি ট্রেনকে থামিয়ে রীতিমতো ঢিল ছুঁড়ে ভাঙচুর চালিয়েছে একদল মানুষ। রবিবারেও চিত্রটা একটুও বদলায়নি বরং উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই রেল দফতরের তরফ থেকে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে তবে উলুবেড়িয়া স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন এক পুলিশ আইসি।
বিক্ষোভকারীদের ধরতে গিয়ে রীতিমতো মারধর খেতে হয় তাঁকে বর্তমানে সেই আইসি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এমনিতেই সোমবার থেকে উত্তর পূর্ব ভারতে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছিল কিন্তু বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে প্রথম হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। স্টেশনে তাণ্ডব চালানোর পর করমণ্ডল এক্সপ্রেস কে লক্ষ্য করে ট্রেন থামিয়ে রীতিমতো ইট পাটকেল ছোড়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় ট্রেনের কাচ।
এর পর উলুবেড়িয়ার ফকিরপাড়ায় অভিযুক্তদের খোঁজে নেমে পুলিশি অভিযান চালালে পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা একই সঙ্গে গাড়ি ভাঙচুর করে পুলিশের উপর চড়াও হয়। আর এই ঘটনায় আহত হন উলুবেড়িয়া থানার আইসি কৌশিক কুণ্ডু। বর্তমানে পুরুলিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন তিনি। যদিও রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়তেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত রাজ্যবাসীর উদ্দেশে নিজেদের হাতে আইন না তুলে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের কথা বলেন।
পাশাপাশি কোনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট না করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এমনকি তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন সরকারি বা বেসরকারি এবং যে কোনও ধরনের সম্পত্তির কোনো রকম ক্ষতি হলে রাজ্য কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না। রাজ্যের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও এবং এনআরসি বিরোধিতা করছে।