বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের মহিলা বিশ্বকাপের নিয়মে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ঠিক করেছে, খেলোয়াড়রা করোনায় আক্রান্ত হলে একটি দল মাত্র নয়জন খেলোয়াড় নিয়েও মাঠে নামতে পারে। আইসিসি নিজেদের নিয়মে এই পরিবর্তন করেছে কারণ যাতে টুর্নামেন্ট চলাকালীন খেলোয়াড়দের করোনা সংক্রমণ হলেও ম্যাচ বন্ধ না হয় এবং টুর্নামেন্ট সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে। এর পাশাপাশি, আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে একটি ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারের মাধ্যমে তার ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। সুপার ওভারও যদি টাই হয়, তাহলে আরেকটি সুপার ওভার হবে এবং ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার চলতে থাকবে।
এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অর্ধেক ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে অনেক কষ্টে দলকে মাঠে নামিয়েছিল ভারত। যদিও এই সময়ে ভারতীয় দলকে খেলতে হয়েছে উগান্ডা ও আয়ারল্যান্ডের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিরুদ্ধে। এই কারণে ভারতের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে মহিলা বিশ্বকাপে এটি হবে না।
এই পরিস্থিতি এড়াতেই সব দলের জন্যই এই নতুন নিয়ম জারি করেছে আইসিসি। আগামী ৪ঠা মার্চ থেকে ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে চলবে মহিলা বিশ্বকাপ। রিজার্ভ হিসেবে দলগুলো তাদের সঙ্গে অনেক অতিরিক্ত খেলোয়াড় যোগ করতে পারে। এমতাবস্থায় কোনো দলে করোনার সংক্রমণ ঘটলে দলে রিজার্ভ খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। লিগের ম্যাচগুলোতে সব দলই একটি করে ম্যাচ খেলবে এবং এরপর প্রথম চারটি দল নির্ধারণ করা হবে।
করোনার প্রকোপ বাড়লে এবং যেকোনো দুই দলের মধ্যে ম্যাচ আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়ে তবে ওই ম্যাচগুলো পরে আয়োজন করা হবে। প্রতিটি দল এই নিয়মের প্রতি সম্পূর্ণ সহযোগিতা দেখাবে বলে আশা করছে। এই টুর্নামেন্টে বাউন্ডারির সংখ্যার ভিত্তিতে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে না, যেমনটি ২০১৯ বিশ্বকাপে হয়েছিল। যে কোনো ম্যাচেই ফল জানা না যাওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার হবে।