চুলের মুঠি ধরে মার …! অবাক করবে পর্দার হাসিখুশি মেঘের বাস্তব জীবনের কাহিনী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন তিতিক্ষা দাস (Titiksha Das)। এই অভিনেত্রীকে শেষবার টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গিয়েছিল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকে। এই সিরিয়ালে প্রধান নায়িকা মেঘের (Megh) চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন তিতিক্ষা। এই সিরিয়ালে সরল-সাধাসিধে,পড়াশোনায় তুখোর,গান পাগল মেঘকে দু’হাত ভরে ভালোবাসা দিয়েছিলেন দর্শকরা।

‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকের মেঘ অভিনেত্রী তিতিক্ষার তিক্ত অভিজ্ঞতা

এই ধারাবাহিকের আগে কালার্স বাংলায় জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘দত্ত অ্যান্ড বৌমা’য় অভিনয় করেছিলেন তিতিক্ষা। যদিও এই ধারাবাহিকটি কিন্তু বেশিদিন চলেনি। তবে জি বাংলার ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকে তিতিক্ষা অভিনীত মেঘ চরিত্রটি শান্ত-শিষ্ট হলেও ছিলেন দারুন প্রতিবাদী। আর তাঁর ব্যক্তিত্বও মুগ্ধ করেছিল সকলকে। কিছুদিন আগে একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানান সিক্রেট ফাঁস করেছিলেন অভিনেত্রী নিজেই।

সেখানে তিনি জানান অভিনেত্রী হয়ে ওঠার আগে তিতিক্ষার সাথে ঘটে গিয়েছিল এক দুঃখজনক ঘটনা। যার জন্য মনে মন খুব কষ্টও পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। আসলে বছর খানেক আগে তখনও ইচ্ছে পুতুল শুরু হয়নি সেসময় একটা সিরিয়ালে কাজ করার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু সবকিছু ফাইনাল হওয়ার পরেও শেষ মুহূর্তে সেই কাজ আর তার করা হয়ে ওঠেনি।

আরও পড়ুন: ‘টাকা আর শোওয়া’ ছাড়া কাজ পাওয়া যায় না! বিস্ফোরক ‘ইচ্ছে পুতুল’-এর জিষ্ণু অভিনেতা শমীক চক্রবর্তী

আর এই কারণে বেশ মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল তিতিক্ষার। এমনিতে কান্নাকাটি খুব একটা পছন্দ না করলেও মন খারাপের সময় মাঝেমধ্যেই চোখে জল চলে আসে অভিনেত্রীর। তবে জানলে অবাক হবেন বাস্তব জীবনে এই বয়সে এসে, এত বড় হয়েও আজও মায়ের হাতে মার খান পর্দার মেঘ।

Titikha

দর্শকদের প্রিয় মেঘ এদিন এপ্রসঙ্গে হাসিমুখেই জানিয়েছিলেন, মাসখানেক আগেও নাকি তার মা তাকে চুলের মুঠি ধরে কয়েক ঘা দিয়েছিলেন। অর্থাৎ এখনও  অভিনেত্রী যে  তাঁর মায়ের শাসনেই রয়েছেন সে কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর