বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে দেশের সবথেকে জনপ্রিয় গায়িকাদের (Singer) মধ্যে অন্যতম। তবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ট্রোলও কম হয় না তাঁকে নিয়ে। উঠতে বসতে সমালোচনার শিকার হন তিনি। বিশেষ করে কথায় কথায় তাঁর ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলার বদভ্যাস নিয়ে সবথেকে বেশি ট্রোল হয়।
যথেষ্ট ইঙ্গিত তো রইল। চিনতে পারলেন গায়িকাকে? ইনি নেহা কক্কর (Neha Kakkar)। রিমিক্সের রানি বলে বেশি পরিচিতি তাঁর বলিউডে। মূলত রিমিক্সের উপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে নেহার কেরিয়ার। পুরনো গানগুলিকে খুঁজেপেতে নতুন করে গান বানান তিনি। তা নিয়ে হাসাহাসি, সমালোচনাও কম হয় না।
তবে যতই ট্রোল হোক না কেন, নেহা যে সঙ্গীত জগতের প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন তা স্বীকার করবেন অনেকেই। গতকাল ৬ জুন জন্মদিন গিয়েছে নেহার। জন্ম থেকেই দারিদ্রতা দেখে এসেছেন তাঁরা। অবস্থা খুবই খারাপ ছিল তাঁদের।
দিদি সোনু ও দাদা টনি জন্মানোর পর আর্থিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। আর সন্তান চাননি তাঁদের মা। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে নেহা আসেন তাঁর গর্ভে। যখন জানতে পারেন তখন গর্ভপাত করাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর গর্ভাবস্থা তখন আট মাসের। তাই ঝুঁকি নেওয়া যায়নি। জন্ম হয় নেহা কক্করেরের।
ছোট থেকেই বিভিন্ন জাগ্রতায় গান গাইতেন নেহা। তিনি বড় হনই জাগ্রতায় গান গেয়ে। নেহার সঙ্গে থাকতেন তাঁর দিদি সোনু কক্কর ও ভাই টনি কক্কর। গানে নিজের কেরিয়ার বানাতেই উত্তরাখন্ড থেকে মুম্বই পাড়ি দেন নেহা ও তাঁর ভাই টনি কক্কর। রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলে অংশগ্রহণ করেছিলেন নেহা।
এই শো বদলে দেয় তাঁর জীবন। এরপরেই শুরু হয় তাঁর গানের কেরিয়ার। বলিউডে সুযোগ পান তিনি। নেহার প্রথম গান ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’ ছবির ‘ধাতিং নাচ’ গানটিতে প্রথম শোনা যায় নেহার কণ্ঠস্বর। এরপর আর তাঁকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
নিজের যোগ্যতায় কেরিয়ার গড়েছেন নেহা। রিমিক্স গান তো রয়েছেই। পাশাপাশি দাদা টনির সঙ্গে মিলে নতুন গানও বানান তিনি। জানা যায়, এক একটি গান রেকর্ডের জন্য আনুমানিক ১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন নেহা। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা!