বাংলাহান্ট ডেস্ক : জীবনে সুখ, শান্তি, পরিবার কোনোটাই পাননি তিনি, তাই ঈশ্বরের প্রতি রাগে মন্দির থেকে মূর্তি চুরি করেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার প্রাণকেন্দ্র বড়বাজার এলাকায়। অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তাঁর বক্তব্যে কার্যতই চোখ কপালে পুলিশ আধিকারিকদের।
মঙ্গলবার বড়বাজার এলাকার মহত্মা গান্ধী রোডের একটি বাড়ির মন্দির থেকে চুরি হয়ে যায় একাধিক ঠাকুরের মূর্তি ও মূল্যবান বাসন। খবর যায় পুলিশে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তন্নতন্ন করে খুঁজে শেষমেষ খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। আর সেই ফুটেজ থেকেই পাওয়া যায় অভিযুক্তের ছবি। তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার মধ্য কলকাতার মুন্সিয়ারি রোডের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রৌঢ় কৃষ্ণকুমার মুদ্রাকে। অভিযুক্তের দাবি, চার বছর বয়সে মারা যান তাঁর বাবা, মা মারা যান ন’বছর বয়সে। মাত্র ৯ বছর বয়সে অনাথ হওয়ার পর থেকেই ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ঘুচে যায় তাঁর। সেই রাগেই বিভিন্ন মন্দির এবং বাড়ি থেকে মূর্তি চুরি করেন কৃষ্ণকুমার। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চুরি যাওয়া মূর্তি এবং বাসন উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্তের এই দাবিতে কার্যতই তাজ্জব পুলিশ কর্মীর। ঠাকুরের প্রতি রাগে এবং প্রতিশোধস্পৃহায় ঠাকুরের মূর্তি চুরির ঘটনা কার্যতই বিরল। ওই ব্যক্তির সঙ্গে অ্যান্টিক মূর্তি চোরদের যোগসাজশ থাকতে পারে বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাই সে ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ।