বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন না এমন ব্যক্তি রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলিতে আবার প্রায়শই ভাইরাল হয়ে যায় একাধিক তথ্য। ঠিক সেইরকমই এক মেসেজ এবার তুমুল ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেটি ইতিমধ্যেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। মূলত, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই মেসেজে বলা হয়েছে যেসমস্ত ৫০০ টাকার নোটে স্টার (*) চিহ্ন রয়েছে সেগুলি আর ব্যবহার করা যাবে না।
এমতাবস্থায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বৃহস্পতিবার এই ধরণের নোটের বৈধতা নিয়ে জনগণের উদ্বেগ দূর করে জানিয়েছে যে, এই নোটগুলি অন্য যেকোনো ব্যাঙ্ক নোটের মতোই সচল থাকবে। অর্থাৎ, এই সংক্রান্ত ভাইরাল হওয়া তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়ো। পাশাপাশি, RBI আরও জানিয়েছে, এই চিহ্নটি ব্যাঙ্ক নোটের নম্বর প্যানেলে উপলব্ধ রয়েছে। মূলত, একটি ভুল ক্রমিক সংখ্যার নোট বা কোনো কারণবশত একটি অব্যবহারযোগ্য নোট বদলে ফেলার ক্ষেত্রেই এই স্টার চিহ্নযুক্ত নোট ছাপানো হয়।
ভাইরাল তথ্যে কি বলা হয়েছে: মূলত, ওই ভাইরাল তথ্যে জানানো হয় যে, “গত ২-৩ দিন থেকে “*” চিহ্ন সম্বলিত ৫০০ টাকার নোট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এই ধরণের নোট IndusInd Bank থেকে ফেরত এসেছে। এটি একটি জাল নোট।” পাশাপাশি, সেখানে জাল নোটের হাত থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্কও করা হয়।
এদিকে, অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, PIB ফ্যাক্ট চেকও টুইট করে জানায় যে, “আতঙ্কিত হবেন না, এই ধরণের নোটগুলিকে জাল বলে দাবি করা মেসেজগুলি সম্পূর্ণ ভুয়ো। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে RBI নতুন ৫০০ টাকার ব্যাঙ্ক নোটে স্টার চিহ্ন দেওয়া শুরু করেছিল।”
कहीं आपके पास भी तो नहीं है स्टार चिह्न (*) वाला नोट❓
कहीं ये नकली तो नहीं❓
घबराइए नहीं ‼️#PIBFactCheck
✔️ ऐसे नोट को नकली बताने वाले मैसेज फर्जी है।
✔️ @RBI द्वारा दिसंबर 2016 से नए ₹500 बैंक नोटों में स्टार चिह्न (*) की शुरुआत की गई थी
🔗https://t.co/2stHgQNyje pic.twitter.com/bScWT1x4P5
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) July 26, 2023
২০০৬ সাল থেকে রয়েছে স্টার চিহ্নের ব্যবহার: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নতুন ৫০০ টাকার নোটে স্টার চিহ্নের ব্যবহার ২০১৬ সাল থেকে শুরু হলেও অন্যান্য নোটে এই চিহ্নের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। RBI-এর মতে, ২০০৬ সাল থেকে স্টার চিহ্ন যুক্ত নোটের শুরু হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল নোট ছাপানো সহজ করা এবং খরচ কমানো। আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভুল ছাপানো নোট বদলে একই নম্বরের সঠিক নোট দিত। এক্ষেত্রে, নতুন নোট ছাপানো পর্যন্ত পুরো ব্যাচ আলাদা রাখতে হত। যার ফলে খরচ এবং সময় উভয়েই বৃদ্ধি পেত। এই কারণে, স্টার চিহ্নের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। যার মাধ্যমে ভুল নোটটি অবিলম্বে প্রতিস্থাপন করা যায়।