আমরা চুড়ি পরে বসে নেই, জয় শ্রী রাম বললেই গাছে বেঁধে রাখুন! হুমকি তৃণমূল নেতার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের বিতর্কের মূলে সেই ‘জয় শ্রীরাম’ (Jai Shri Ram) স্লোগান। নাহ, এখন থেকে নয়, সেই শুরু থেকেই বিতর্কের শিরোনামে বড় এক জায়গা দখল করে নিয়েছে এই স্লোগান। তবে অন্যত্র নয়, শুধুমাত্র বঙ্গের মাটিতে। বছর শেষে বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যয়কে দেখে উচ্চস্বরে দেওয়া হয়েছিল ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। সেই নিয়ে বিতর্কের জল গড়িয়েছিল বহুদূর। এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শুরু স্লোগান বিতর্ক। এবার জয় শ্রীরাম বললেই বিজেপি কর্মীদের গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) রাজ্যের মুখপাত্র দেব টুডু (Deb Tudu)।

সোমবার পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মেমারির সাতগাছিয়ায় এক দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল পরিষদের সহ-সভাপতি দেব টুডু। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিপাকে তৃণমূল নেতা। এদিন সভার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের বিরোধী দলগুলোকে একহাত নেন দেবু টুডু। এরপরই হঠাৎই কথা বলেন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।

   

এদিন ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা ? প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে দেবু টুডু বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র। বাংলার টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে দিল্লি, আর বাংলার মানুষের প্রাপ্য ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। আমরা তৃণমূল কর্মীরা চুড়ি পড়ে বসে নেই। কোনও বিজেপি নেতা কর্মী যদি ‘জয় শ্রীরাম’ বলে তাদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন। কোনও ঝান্ডা লাগাতে দেবেন না। তাদের বলুন আগে ১০০ দিনের পাওনা টাকা মেটান, তারপর অন্য কথা।’

তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে তরজা। শোরগোল পড়ে গেছে রাজনীতির অন্দরে। কড়া ভাষায় টুডুর এই বেফাঁস মন্তব্যের নিন্দা করেছে গেরুয়া বাহিনী। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনসাধারণ এসব তৃণমূলী নেতাদের যোগ্য জবাব যোগ্য দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

deb tudu

একটা কথা না বললেই নয়! এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক নেতাদের হুমকি-হুঁশিয়ারির বহর। এবার এহেন উত্তপ্ত আবহে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ হয় সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষারত বঙ্গবাসী।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর