বাংলা হান্ট ডেস্ক: এইমুহুর্তে গোটা দেশের নজর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর দিকে। শুক্রবার দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিট ১৭ সেকেন্ড- আজ যেন ওই মুহূর্তের জন্যই পুরো দেশ অপেক্ষা করছে। শ্রীহরিকোটা থেকে এই সময়েই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপন করা হবে। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চললে আগামী ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে পা পড়বে চন্দ্রযান ৩-র। যদিও সেটা সূর্যর এর অবস্থানের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
জানা যাচ্ছে, সূর্যোদয়ছর বিলম্ব ঘটলে অবতরণের সময় বাড়াতে পারে ISRO। এমতাবস্থায় ল্যান্ডিং টাইম অগাস্টের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরেও হতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ল্যান্ডারটি যদি দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে তবে পুরো বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোর ইতিহাস গড়ে ফেলবে ভারত। এছাড়াও বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে পা দেওয়ার নজির গড়বে ভারত।
চন্দ্রযান-৩ মিশন কি?
চন্দ্রযান মূলত চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে চাঁদের উপর পরীক্ষা চালাবে। এতে একটি প্রপালশন মডিউল, একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার থাকবে। উল্লেখ্য, এবারের অভিযানে যাতে কোন ত্রুটি না থাকে তাই গত বুধবারই প্রযুক্তিগত যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা সম্পূর্ণ হয়েছে। এমনকি একপ্রস্থ মহড়াও সেরে ফেলেছেন বিজ্ঞানী মহল।
এই বিষয়ে ISRO বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন দাবি করেছেন যে, ‘চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করলে, মহাকাশে ভারতের দখলদারি আরো বাড়বে। বর্তমানে আনুমানিক ৬০ হাজার কোটি ডলারের প্রোজেক্ট চলছে চারিদিকে। সেখানে ভারতের শেয়ার মাত্র ২ শতাংশ। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’
‘মিশন কঠিন, কিন্তু সাফল্য প্রয়োজন’, এমনটাই বলেছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধবন নায়ার। তাঁর দাবি, ‘ এই মিশন মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে।’ তিনি আরো বলেছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠ সফট ল্যান্ডিং করাটা খুবই কঠিন ও জটিল একটা বিষয়। তবে ডঃ আন্নাদুরাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষমতা আমরা প্রমাণ করবই।’
ভারতের মুন-ম্যান এবং চন্দ্রযান-১ এর মিশন ডিরেক্টর ডঃ ময়লাস্বামী আন্নাদুরাই চন্দ্রযান-৩ কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন হিসেবে দাবি করেছেন। এই বিষয়ে মতামত রেখেছেন, ISRO-র প্রাক্তন ডিরেক্টর কে সিভান। আমলে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মিশন পাঠানো হয়েছিল। তবে সেবার ল্যান্ডারটি সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করতে পারেনি। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে, এবার সফলতা আসবেই।