বাংলাহান্ট ডেস্ক : হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ভারত (India) ছেড়ে দেবে, তবুও আপস করবে না সুরক্ষার সাথে, হাইকোর্টে এমনটাই জানালেন মেটার আইনজীবী। ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের মামলায় হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানাল। হাইকোর্টে মেটার তরফ থেকে বলা হয়েছে, গোপনীয়তার জন্য Whatsapp ব্যবহার করেন ব্যবহারকারীরা।
তাই তার সাথে আপস করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালে ঘোষণা করে ইনফরমেশন টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়েটরি গাইডলাইনস অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) রুল। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্টভাবে বলেছিল, নতুন নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে টুইটার (বর্তমানে এক্স), ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াট্সঅ্যাপের মতো সমাজমাধ্যমগুলিকে।
আরোও পড়ুন : ‘আমার সঙ্গে একটা ছবি তুলবে কাঞ্চনদা?’ অরিজিতের আবদারে হতভম্ব অভিনেতা, ভেবেছিলেন…
‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ পরিষেবা প্রদান করে হোয়াটসঅ্যাপ। এই পরিষেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের চ্যাট নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তৃতীয় ব্যক্তি সেই কথোপকথন কখনোই জানতে পারেন না। এমনকি ব্যবহারকারীর চ্যাট পড়তে পারে না মেটাও। এমনকি নতুন নিয়মে প্রয়োজন হলে হোয়াটসঅ্যাপের এই পরিষেবার বেড়া ভেঙে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। যদিও কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি।
আরোও পড়ুন : প্রচন্ড গরমে কলকাতায় ৩০ মিনিট স্কুল বাস দাঁড় করিয়ে চেকিং পুলিশের! কারণ জানলে ফুঁসে উঠবেন
সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মেটার আইনজীবী দিল্লি হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীৎ প্রীতম সিংহ অরোরার বেঞ্চে জানিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা রক্ষা করে তা ভাঙা সম্ভব নয়। সেটি করতে হলে মেসেজের দীর্ঘ তালিকা রেখে দিতে হবে দীর্ঘদিনের জন্য। কখন কোন মেসেজের প্রয়োজন হবে তা আগে থেকে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
তাই বছরের পর বছর ধরে লক্ষ লক্ষ ম্যাসেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যেটি একেবারেই অসম্ভব। তাই এমন নিয়ম চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে। এই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষের। তবে সেটি নিরঙ্কুশ নয় কখনোই। দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৪ ই আগস্ট।