বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুর নিয়োগ দুর্নীতি (municipality recruitment scam) মামলায় গত শুক্রবার সকালে তৃণমূল হেভিওয়েটদের বাড়িতে একজোটে হানা দিয়েছিল ইডি। তালিকায় ছিল তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ও (MLA Tapas Roy)। ১২ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে কিছু বায়োডেটা ও বিধায়কের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে চলে যায় ইডি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশির পর তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা বেরিয়ে যাওয়ার পর মুখ খুলেছিলেন তিনি। ওদিকে শনিবার এক সাক্ষাৎকারে ফের সেই ইস্যুতে মন্তব্য করলেন বিধায়ক তাপস রায়।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তাপসবাবু বলেন, ‘‘সুযোগ পেলে গরিব মানুষের পরিবার বাঁচাতে, দলের কর্মীদের জন্য আমি আবারও চাকরির সুপারিশ করব। তবে কোনও কিছুর বিনিময়ে নয়।’’ সাফ কথায় তাপস বলেন, ‘‘ কংগ্রেস জমানাতেও আমি অনেকের চাকরির সুপারিশ করেছি। এই জমানায় খুব একটা সুযোগ পায়নি। তবে ভবিষ্যতে যদি পাই, তাহলে আমি তা করব।’’
পুর দুর্নীতির তদন্তে নিজের বাড়িতে ইডি হানা প্রসঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে তাপস বলেন, ‘‘আমি চিরকাল অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া বা ছাত্রভর্তির বিরুদ্ধে। এ কথা সর্বজনবিদিত। আর আমার বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডি এল, এটা কী সম্ভব!’’ তাপসের কথায়, ‘‘সিপিএম জমানাতেও অনেক লড়াই হয়েছে। টানা ৪২ মাস লড়াই চলেছে। তবে কখনও আমার বাড়িতে পুলিশ পর্যন্ত আসেনি।’’
আরও পড়ুন: দারুন খবর! সামনেই ফের টানা দু দিন ছুটি থাকছে! দেখে নিন তালিকা
তবে শুধু বিধায়কই নন, বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়ের বাড়িতে ইডি হানা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিরোধীরাও। তাপসের বিরুদ্ধে নিজের দল তো দূর বরং বিরোধী নেতারাও তার বিরুদ্ধে কখনও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন না। তাপস রায়ের বাড়িতে ইডি হানার ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘তাপস রায়কে এরকম চোরচোট্টা বলে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। এখন চোরের কেউ সঙ্গে থাকলে চোরের বদনাম নিতে হবে। সঙ্গ দোষে কিছু হলে আলাদা কথা। কিন্তু ওনাকে আমি যতটুকু জানি, উনি এরকম দুর্নীতি করার মধ্যে থাকার সম্ভাবনা কম।’
ওদিকে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও কিছুটা একই সুরে বলেন, ‘ব্যক্তি তাপস রায়ের বিরুদ্ধে এর আগে কখনও কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু যে দলের সঙ্গে উনি রয়েছেন, যেভাবে অয়ন শীলের কাছে নথিতে নেতা-মন্ত্রীদের নাম এসেছে, সেখানে তো তদন্ত উচিৎ।’