চলন্ত ট্রেন থেকে ফোন পড়ে গেলে প্রথমেই করুন এই কাজটি! দ্রুত পেয়ে যাবেন খুঁজে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে গণপরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হল ট্রেন (Train)। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। এমনকি, দূরপাল্লার সফরের ক্ষেত্রেও রেলপথের (Indian Railways) জুড়ি মেলা ভার। যদিও, ট্রেনে সফরকালে অনেকসময় যাত্রীদের অসাবধানতাবশত ট্রেনের জানালা কিংবা দরজা দিয়ে মোবাইল ফোন নিচে পড়ে যায়। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। এদিকে, অনেকে আবার এহেন ঘটনার সম্মুখীন হয় ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টানার কথা ভাবেন। যদিও, সেক্ষেত্রে জরিমানার সম্ভাবনা থাকে।

এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, ট্রেন থেকে কোনোভাবে ফোন পড়ে গেলে সেটি ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে তাহলে ঠিক কি উপায় রয়েছে? বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই প্রসঙ্গটিই বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করছি। যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটি ফিরে পেতে পারেন।

আপনার ফোন চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেলে এই কাজটি করুন: চলন্ত ট্রেন থেকে অসাবধানতাবশত আপনার মোবাইল নিচে পড়ে গেলে প্রথমে আপনাকে ওই স্থানের রেল ট্র্যাকের পাশের খুঁটিতে লেখা নম্বর বা সাইড ট্র্যাকের নম্বরটি নোট করতে হবে। এরপরে, সময় নষ্ট না করে অন্য যাত্রীর ফোনের সাহায্যে, RPF এবং ১৮২ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানাতে হবে। মূলত, আপনার ফোনটি কোন খুঁটি বা ট্র্যাক নম্বরের আশেপাশে পড়েছে তা আপনাকে তাদের বলতে হবে।

এই তথ্য পাওয়ার পর, আপনার ফোনটি খোঁজার কাজ রেল পুলিশের জন্যও সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি, ফোনটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও বহুগুণ বেড়ে যাবে। কারণ, আপনার বলে দেওয়া অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে রেল পুলিশ দ্রুত ওই নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে ফোনটি খোঁজার কাজ শুরু করে দেবে। এর পরে আপনি সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আপনার মোবাইলটি ফেরত পেতে পারেন।

968497 indiffan railways copy

আপনি এই নম্বরগুলিতেও সাহায্য চাইতে পারেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ১৮২ নম্বরটি হল রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (RPF) অল ইন্ডিয়া সিকিউরিটির হেল্পলাইন নম্বর। আপনি এটির মাধ্যমে সাহায্য চাইতে যেকোনো সময় কল করতে পারেন। একইভাবে, ১৫১২ ডায়াল করেও আপনি সাহায্য চাইতে পারেন। এটি হল G.R.P-র হেল্পলাইন নম্বর। এদিকে, ট্রেনে ভ্রমণের সময় যাত্রী যদি কোনো ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন, সেক্ষেত্রে তিনি হেল্প লাইন নম্বর ১৩৮ ডায়াল করেও সাহায্য পেতে পারেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর