বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্য থেকে তামাক (Tobacco) সেবন রাখতে এক অভিনব পদক্ষেপ নিল ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) প্রশাসনের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারী চাকরির জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে কোন রকম তামাজজাত দ্রব্য সেবন না করার হলফনামা দিতে হবে। তবেই মিলবে সরকারী চাকরি।
নতুন নিয়মের মধ্যে পড়বেন সরকারী চাকুরী কর্মরতরাও
ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র নতুন করে সরকারী চাকরির আবেদনকারীরাই নয়, ধূমপান এবং সর্বোপরি তামাকজাত দ্রব্য সেবন না করার হলফনামা দিতে হবে সরকারী চাকুরীজীবীদেরও। ২০২১ সালের ১ লা এপ্রিল থেকেই এই নিতুন নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে ঝাড়খণ্ড সরকার।
কোন সময়েই সেবন করা যাবে না এই তামাকজাত দ্রব্য
এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকছে- পান মশলা, জর্দা, সুপুরি, সিগারেট, বিড়ি, খৈনি, গুটখা, ই-সিগারেট, হুঁকো এমনকি যেকোন ধরণের তামাকজাত দ্রব্যই থাকছে এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। তবে আরও জানানো হয়েছে, হলফনামায় আরও লিখতে হবে- শুধুমাত্র অফিসের সময় কিংবা সরকারী দফতরের মধ্যেই নয়, কোন সময়ই কোন সরকারী কর্মী সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তামাকজাত দ্রব্য সেবন করতে পারবেন না।
পিছিয়ে নেই মহারাষ্ট্র সরকারও
চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে দেখা গিয়েছিল, মহারাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য বিভাগ রাজ্যবাসীকে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করার জন্য খোলা সিগারেট, বিড়ি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তারা বলেছিলেন- প্যাকেটের গায়ে যে মুদ্রিত বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ লেখা থাকে তা সম্পূর্ণ প্যাকেট কিনলেই মানুষের চোখে পড়বে। যার কারণে কিছুটা হলেও, নাগরিকদের ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। কিন্তু খোলা প্যাকেটে তা দেখা যায় না বলে, খোলা বিড়ি সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
‘টোব্যাকো ফ্রি জোন’ বোর্ড টাঙাচ্ছে ঝাড়খণ্ড
তবে মহারাষ্ট্রের থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড। তারউপর ঝাড়খণ্ডের তামাক নিয়ন্ত্রণ কমিটির প্রধান সম্পাদক সুখদেব সিং নির্দেশ বৃহস্পতিবারই সরকারী দফতর থেকে শুরু করে বেসরকারি দফতর সবর্ত্রই ‘টোব্যাকো ফ্রি জোন’ লেখা বোর্ড টানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।