বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার (Accident) সংখ্যা। এমতাবস্থায়, এহেন ঘটনা কমাতে এবং গাড়ি চালানোর সময়ে চালক এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ট্রাফিক আইনের (Traffic Rules) অধীনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করা হয়। যেগুলি সঠিকভাবে মেনে চলতে হয় প্রত্যেককেই। যদিও, বহুক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অনেকেই ওই নিয়মগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা জরিমানার সম্মুখীন হন।
তবে, এবার গাড়ি চালানোর সময়ে আরও বেশি সতর্ক না হলে আপনি এক লক্ষ টাকারও বেশি চালানের সম্মুখীন হতে পারেন। মূলত, নতুন মোটর ভেহিক্যাল আইনের অধীনে, ট্রাফিক নিয়ম সঠিকভাবে না মেনে চললে আপনার কাছ থেকে ১.৪১ লক্ষ টাকার চালান কাটতে পারে ট্রাফিক পুলিশ। এটি ইতিমধ্যেই মোটর ভেহিক্যাল আইন ২০১৯ কার্যকর হওয়ার পরে লাগু হয়ে গিয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাক চালানোর সময় ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করলে আপনাকে ১,৪১,৭০০ টাকার জরিমানা দিতে হতে পারে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, রাজস্থানের একটি ট্রাককে ওভারলোডিংয়ের জন্য দিল্লিতে ১,৪১,৭০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল। পরে ট্রাক মালিক রোহিণী আদালতে গিয়ে চালান জমা দেন। তাই গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক নিয়মের প্রতি বিশেষ নজর এবার থেকে দিতে হবে।
দেখুন কোন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য কত জরিমানা হতে পারে: আপনি যদি ট্রাক চালান সেক্ষেত্রে ওভারলোড করলে ৫,০০০ টাকার জরিমানা হতে পারে। পাশাপাশি, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট না থাকার জন্য ১০,০০০ টাকা, ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকার জন্য ১০,০০০ টাকা এবং পারমিট লঙ্ঘনের জন্য ১০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এছাড়াও, ইন্স্যুরেন্স না থাকলে ৪,০০০ টাকা, পলিউশন সার্টিফিকেট না থাকলে ১০,০০০ টাকা, অনাবৃত নির্মাণ সামগ্রী বহন করার জন্য ২০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। এর পাশাপাশি, ট্রাফিক পুলিশ একসাথে ওভারলোডিংয়ের জন্য ২০,০০০ টাকার চালান কাটতে পারে। এছাড়াও, ওভারলোডিংয়ের পরিমান যত বেশি হবে জরিমানার অঙ্কও তত বাড়বে।
কাটা হয়েছে ২,০০,৫০০ টাকার চালান: এদিকে, এই নতুন নিয়ম কার্যকর করার পরে, দিল্লি পুলিশ রাম কিষাণ নামে এক ব্যক্তিকে ২ লক্ষ ৫০০ টাকার চালান জারি করেছে। যেটির মধ্যে ওভারলোডিংয়ের জন্য জরিমানা করা হয় ৫৬,৫০০ টাকা। পাশাপাশি, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার জন্য ৫,০০০ টাকা, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের জন্য ১০,০০০ টাকা, পারমিট লঙ্ঘনের জন্য ১০,০০০ টাকা, ইন্স্যুরেন্সের জন্য ৪,০০০ টাকা ও পলিউশন সার্টিফিকেটের জন্য ১০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও, কোনো ঢাকা ছাড়া নির্মাণ সামগ্রী বহনের জন্য ২০,০০০ টাকা এবং সিট বেল্ট না পরার জন্য ১,০০০ টাকার চালান জারি করা হয়। আর এইভাবে, ট্রাফিক পুলিশ তাঁকে মোট ২,০০,৫০০ টাকার চালান দেয়। এমতাবস্থায়, রোহিণী আদালতে জরিমানা পরিশোধ করে ট্রাকটিকে মুক্ত করেন তিনি।