প্রাণায়াম করলে তাড়াতাড়ি হবেন সুস্থ, বললেন দিল্লীর প্রথম করোনা রোগী

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘প্রাণায়ম করুন, তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন, বললেন প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। দিল্লিতে প্রথম যে ব্যক্তি কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁর নাম রহিত দত্ত( Rohit Dutta)। বয়স ৪৫ (45) । পেশায় ব্যবসায়ী। অন্য রোগীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, প্রাণায়াম করুন। তাহলে তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।

তাঁর কথায়, “করোনা আক্রান্তদের আমি প্রাণায়াম করতে বলি। এতে দুশ্চিন্তা কমে। তাড়াতাড়ি সেরে ওঠা যায়।” গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউরোপ থেকে ফেরেন রহিত। পরে তাঁর সামান্য জ্বর হয়। তিনি রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

তাঁর কথায়, “এর পরেই আমি কোয়ারান্টাইনে (quarantine) চলে যাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে বাড়িতে ফিরতে দেয়নি। হাসপাতালে সবরকম ব্যবস্থা ছিল। উত্তর ভারতে আমিই ছিলাম প্রথম কোভিড পেশেন্ট। প্রত্যেক চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন দক্ষ। তাঁরা নিজেদের কাজ ভালভাবেই জানতেন।” রহিত যখন প্রথম জানতে পারলেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তখন চমকে উঠেছিলেন। অন্যান্য রোগীদের কাছে তাঁর আবেদন, ইতিবাচক চিন্তা করুন। সরকার ও চিকিৎসকদের ওপরে আস্থা রাখুন।

তিনি জানিয়েছেন, সেরে ওঠার পরে ঈশ্বরে তাঁর বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার মোকাবিলা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ পুলিশকর্মী। সোমবার দিল্লি পুলিশের এই তিন কর্মীর কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। দিল্লির নবি করিম এলাকায় ডিউটিতে ছিলেন এই তিনজন। রাজধানী শহরের ৮৪টি কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে এই নবি করিম। এই জোনে নতুন করে তিন পুলিশকর্মীর শরীরে সংক্রমণের নমুনা মেলায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

দিল্লিতে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২০৮১। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে ২১ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৮,৬০১। মৃত্যু হয়েছে ৫৯০ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২৫২ জন। এখনও অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৪৭৫৯। ইতিমধ্যেই সিল করা হয়েছে দিল্লি-গাজিয়াবাদ বর্ডার। সংক্রমণ রুখতে মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গাজিয়াবাদের জেলাশাসক অজয় শঙ্কর পাণ্ডে। মূলত, দিল্লি থেকে গাজিয়াবাদে যাওয়া ৬ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছিল কোভিড-১৯ সংক্রমণের নমুনা। তারপরেই সিল করা হয় দিল্লি-গাজিয়াবাদ বর্ডার।

কেবলমাত্রা যাঁরা জরুরিভিত্তিক পরিষেবায় যুক্ত কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহের কাজে যুক্ত তাঁদের ক্ষেত্রে সঠিক পাস থাকলে তবেই যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গাড়ির লাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে দিল্লি-গাজিয়াবাদ বর্ডারে। মূলত পণ্যবাহী ট্রাকের ভিড় লেগেছিল এখানে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের ৫২টি জেলাতে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

X