বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার (Twitter) কিনে নিয়ে রীতিমতো চর্চায় রয়েছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। কখনও টুইটারের প্রসঙ্গে একাধিক বিতর্ক আবার কখনও বা সংস্থা থেকে গণছাঁটাই প্রতিটি ক্ষেত্রেই মাস্ক বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। তবে, টুইটারের মালিকানা হাতে পাওয়ার পর অবশ্য এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে একাধিক বদলও ঘটিয়েছেন তিনি। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার নতুন করে ইউজারদের জন্য কড়া সতর্কবার্তা দিলেন মাস্ক।
শুধু তাই নয়, এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে এবার থেকে সাতদিনের জন্য ব্যবহারকারীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মাস্ক জানিয়েছেন যে, টুইটারে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে যদি আপনি কারও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেন সেক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মূলত, কোনো ব্যক্তির মোবাইল নম্বর, ঠিকানা কিংবা তাঁর সন্তানেরা কোন স্কুলে পড়াশোনা করে এহেন তথ্য টুইটারে প্রকাশ করা হলেই এবার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে।
এমতাবস্থায়, একবার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে গেলে আপনি কোনোভাবেই আর সাতদিনের জন্য টুইটার ব্যবহার করতে পারবেন না। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, টুইটার কেনার আগে থেকেই বাক স্বাধীনতার প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন মাস্ক। পাশাপাশি, তিনি এও বলেছিলেন যে, কোনো ইউজার রিয়েল-টাইম লোকেশন শেয়ার করলে তিনি সেই অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। যদিও, একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নতুন এই নিয়মের বিষয়টি সামনে এনেছেন।
কেন লাগু হচ্ছে এই নিয়ম: ইতিমধ্যেই মাস্ক টুইট মারফত এহেন পদক্ষেপের কারণটিও সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “বৃহস্পতিবার রাতে লস অ্যাঞ্জেলসে আমার গাড়িতে আমার ছেলে যাচ্ছিল। আমি তখন ছিলাম না। তবে আমি আছি ভেবে একজন আমার গাড়িটিকে ধাওয়া করে। এমনকি, একটা সময়ে আমার গাড়ি আটকে সেটির ছাদে উঠে পড়ে ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
They posted my exact real-time location, basically assassination coordinates, in (obvious) direct violation of Twitter terms of service
— Elon Musk (@elonmusk) December 16, 2022
এমতাবস্থায়, এই সমগ্ৰ বিষয়টি টুইটারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি। মাস্কের মতে, টুইটারে এমন কিছু অ্যাকাউন্ট আছে যারা তাঁর (মাস্কের) লাইভ লোকেশন ফলো করে। এমনকি, সেগুলি তা টুইটারে পোস্টও করা হয়। সেখান থেকেই লোকেশনের তথ্য পেয়ে তাঁর গাড়িটিকে ধাওয়া করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি টুইটারের প্রতিটি ইউজারের ব্যক্তিগত সুরক্ষার কথা ভেবেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।