বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালিদের বেড়াতে যাওয়ার অন্যতম পছন্দের এবং জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন হল শৈলশহর দার্জিলিং (Darjeeling)। তবে, এবার দার্জিলিংয়ের পর্যটকদের জন্য এল বড় আপডেট। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার দার্জিলিংয়ে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের দিতে হবে কর। ইতিমধ্যেই সোমবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং পুরসভা। পাশাপাশি, সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হোটেল মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
এছাড়াও, দার্জিলিংয়ের হোটেলগুলিতে এই সংক্রান্ত কুপনও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, কেন পর্যটকদের জন্য লাগু করা হল করের নিয়ম? সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের পুরপ্রধান দীপেন ঠাকুরি। তিনি বলেন, ‘‘মূলত জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্যই নেওয়া হবে এই কর।’’ অপরদিকে, পুরসভার এহেন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটন সংস্থাগুলি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, তারা এটাও অভিযোগ করেছে যে, কোনো রকম আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘আগেও এই কর নেওয়া হত। তাই, এটা নতুন কিছু নয়। যদিও মাঝে বহু বছর এটি বন্ধ ছিল। এবার আমরাও একটা বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি। কিন্তু বিস্তারিত কিছুই জানি না। এই নিয়ম কিভাবে হোমস্টে বা হোটেলের ক্ষেত্রে কার্যকর করা হবে, সেই বিষয়টা সম্পর্কেও পুরোপুরি অবগত নই। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকলের সঙ্গে বৈঠক করলে ভালো হত। যদিও, এই কর শুধুমাত্র দার্জিলিঙের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ বলে জেনেছি।”
আরও পড়ুন: IIT, IIM থেকে করেন পড়াশোনা! খাড়া করেন কয়েকশ কোটির কোম্পানি! এবার ২০ বছর থাকতে হবে জেলে
অপরদিকে দীপেনও জানিয়েছেন, এই করের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ৩০ বছর ধরে দার্জিলিংয়ে এই কর চালু ছিল দার্জিলিঙে। তবে, মাঝের কয়েকটি বছর পর্যটকদের থেকে ওই কর নেওয়া বন্ধ হলেও আবার তা চালু করা হল। পাশাপাশি, করের পরিমাণ আগের মতোই ২০ টাকা রাখা হচ্ছে। দীপেন বলেন, ‘‘শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরসভার অনেক খরচ হচ্ছে। আর সেই কারণেই বাধ্য হয়ে ওই কর ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: এবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরির সুযোগ! জারি হল বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন
পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে পাহাড়ে পর্যটকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও, পুরপ্রধান দাবি করেছেন যে, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। বরং, তিনি অভিযোগ করেন, আগে যে কর সংগ্রহ করা হত, তার কোনো হিসাব থাকত না। এবার থেকে সমস্ত হিসাব রাখা হবে। এর পাশাপাশি সমস্ত নিয়ম মেনে টেন্ডার ডেকে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।