বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার তালিকায় সুন্দরবন (Sundarbans) বরাবরই রয়েছে। এখানে বছরের বেশিরভাগ সময়ে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। এই শীতের সময় এখানে গেলে দেখতে পেলেও পেতে পারেন যে নদীর চরে বসে রোদ পোহাচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। তবে সুন্দরবন গেলেই যে বাঘের দেখা মিলবে, এমনটা ভাগ্যে থাকলেই সম্ভব।
এখানের সজনেখালিতে (Sajnekhali) গেলে অনেক জীবজন্তুর দেখা পাবে। এখানেই রয়েছে পাখিরালয় এবং সজনেখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। সজনেখালি (Sajnekhali) অভয়ারণ্য সম্পর্কে যদি ভালো করে জানতে চান, তাহলে আপনাকে যেতে হবে ম্যানগ্রোভ ইন্টার প্রিটেশন সেন্টারে। এখান থেকে আপনি সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ, পশু-পাখি, নদ-নদী সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাবেন। সুন্দরবনকে ছোট ছোট চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
সজনেখালিকে বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৭৬ সালে। এই অঞ্চলটি গড়ে উঠেছে প্রায় ৩৬৩ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে। এখানে আপনার সর্বক্ষণের সঙ্গী হবে গোমর নদী। অজস্র পাখির দেখা মিলবে এখানকার পাখিরালয়ে। তার সঙ্গে এখানে অনেক জীবজন্তু দেখতে পাবেন, হরিণ, বুনো শূকর, বাঁদর ইত্যাদি। কখনও-সখনও এখানে রয়েল বেঙ্গলেরও দেখা মিলতে পারে। তবে কিন্তু এই অরণ্যে আপনি নিজের মতো করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। এই জঙ্গলের কোর এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আপনারা বাফার এলাকায় নিজের ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারেন এবং দেখা পেতে পারেন বন্যজন্তুদের।
এখানকার পাখিরালয় হয়ে আপনি যেতে পারবেন গোসাবা। গোসাবা এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। আপনি সজনেখালি গেলে সেখানা রাত্রিবাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরের ট্যুরিস্ট লজ বুক করতে পারেন। এখানে যাওয়ার জন্য ক্যানিং থেকে মাতলা নদী পেরিয়ে বাসন্তীর ডকঘাট পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন : ‘ভারতে বোমা…’, সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক পোস্ট, ফাঁস সংসদ হামলার মূলচক্রি ললিত ঝাঁয়ের কুকীর্তি
তারপর সেখান থেকে গদখালি থেকে নদী পেরিয়ে গোসাবা বাজার। আবার গোসাবা ঘোড়া হয়ে গেলে সেখান থেকে পাখিরালয় ঘুরে পৌঁছে যান সজনেখালি। এই সজনেখালি অভিয়ারণ্যের পাশাপাশি আপনি ঘুরতে পারবেন বনবিবি ও দক্ষিণ রায়ের মন্দির। এছাড়া নদী পথে গেলে দেখতে পারবেন সুধন্যখালি, দোবাঁকি, নেতিধোপানি ইত্যাদি।